ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর অনেকেই ভেবেছিলেন, নিষেধাজ্ঞায় প্রাপ্ত অপ্রত্যাশিত অবসরে হয়ত জং ধরে যাবে দেশের ক্রিকেটের একসময়ের সবচেয়ে বড় তারকা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় উত্থানের বড় সাক্ষী মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরে গত মৌসুমে খেলেছিলেনও ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবুও পারফরমেন্স যেন হচ্ছিল না পুরনো ‘আশরাফুলের’ মতো।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে অনেকেরই চোখ ছিল আশরাফুলের দিকে। তার সমর্থক ও পাঁড় ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন আশরাফুলের ব্যাটে রানের ফোয়ারা দেখার। অবশেষে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বিভাগীয় দলের বিপক্ষে লড়াকু শতক হাঁকিয়েছেন আশরাফুল। টস জিতে বের কতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে বিপাকে পড়ে যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন। পাঁচে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন আশরাফুল। পঞ্চম উইকেটে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সাথে গড়েন ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ। একইসাথে তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ১৯তম শতক।
১৯৪ বলের মোকাবেলায় ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আশরাফুল। এর মাধ্যমে স্বীকৃত ক্রিকেটে চার বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। দলীয় ২৪৮ রানের মাথায় মেহেদী হাসান রানার বলে উইকেটরক্ষক সাব্বিরের বলে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১০৪ রান, যা কিনা দলের পক্ষে দিনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত!
দীর্ঘদিন পর ফর্মে ফেরে আশরাফুল জানালেন, ফুরিয়ে যাননি এখনও। সেই সাথে সমর্থকদের স্বস্তি এনে দিলেন, আর কুড়িয়ে নিলেন সমালোচকদের প্রশংসাও।
- সিয়াম চৌধুরী, প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটাইম