‘অতিরিক্ত বোলার থাকলে জিততাম, তার কি নিশ্চয়তা ছিল’
ব্যাট হাতে তামিমের ওভালে সেঞ্চুরি এবং মুশফিকের ৭৯। দুইজনের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৫ রান বাংলাদেশের। এমন ব্যাটিং করেও জয়ের স্বপ্ন দেখাটা কঠিন কিছু না, কেননা বোলিংয়ে অ্যাটাকে মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজ, সাকিবদের মতো বোলার থাকতে এই রানের আগে ইংল্যান্ডকে আটকে দেওয়াটা কঠিন ছিল না। তবে জ্বলে উঠতে হবে সঠিক সময়ে। যা কোন বাংলাদেশের বোলারই করতে পারেনি।
আগেরদিন ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানের অল-আউট হওয়াতে ব্যাটিং দিক শক্তিশালী করতে ৮ ব্যাটসম্যান খেলানোর পরিকল্পনায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, অধিনায়কের। কারণ এই ওভালের পিচে বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য কার্যকারী বেশি। তাই দলের স্কোরবোর্ডে বড় রান পেতে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিল বাংলাদেশ।
Also Read - থার্ড আম্পায়ারের তড়িঘড়িতে অসন্তুষ্ট মাশরাফি৮ ব্যাটসম্যানের তত্ত্বেও নিজেদের লক্ষ্য মতো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। তামিম ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া ১৬৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরপর ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়াতে রানের গতিও কমে যায়। সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালের আউট হওয়ার পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ দলের ‘দ্য ওয়াল’ মুশফিক। তবে রান দ্রুত রান তুলতেই ঐ শটটা খেলতে হয়েছে মুশফিককে।
“আমি জানতাম মারতে হতো। কারণ রান করতে হবে। শট নির্বাচন ঠিকই ছিল, স্রেফ ঠিকমত খেলতে পারিনি। বলটি মারারই ছিল। অবশ্যই আমার উচিত ছিল আরও টেনে নেওয়া। শেষ পর্যন্ত থাকা। পরের দিকে অন্যরাও রান করতে পারেনি সেভাবে।”
একাদশে ৮ ব্যাটসম্যান খেলানোতে একজন স্পেশাল বোলাররের অভাবটা টের পাওয়া যায় ম্যাচেই। মুস্তাফিজ, মাশরাফি, রুবেল, সাকিব বাদে বাকি ১০ ওভার বোলিং করানো লাগতো পার্ট-টাইমারদের দিয়ে। এই দিনে বল হাতে ফর্মে ছিলেন না কেউই। রুবেল, মুস্তাফিজ, মাশরাফির পাশাপাশি ফের ব্যর্থ হন সাকিব।
তবে বোলার একজন বেশি খেলালেই যে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে যেত তা মানতে নারাজ বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের শেষের দিকে দ্রুত রান না তুলা এবং বোলিংয়ে মধ্য সময়ে উইকেট না পাওয়াতে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশের জন্য। তিনি বলেন, ম্যাচ শেষে বলা খুবই সহজ।
“আমার মতে, আমরা ২৫-৩০ রান কম করেছিলাম। হয়ত একজন বোলারের ঘাটতিও ছিল। মিরাজ ছিল না আজকে। অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে ১০ ওভার বের করে আনতে হতো।”