
এর আগেও তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন, তবে সেটি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। এত বড় পর্যায়ে অধিনায়কত্ব এবারই প্রথম। আর নিজের প্রথম ম্যাচেই মেহেদী হাসান মিরাজ বুঝতে পেরেছেন, দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অতো সহজ কাজ নয়।

নিজের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম ম্যাচে দলও হেরে গিয়েছে। শনিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে বিশাল ব্যবধানের সেই হার মিরাজকে আরও শিখতে সাহায্য করেছে। দীর্ঘদিন পর অধিনায়ক হিসেবে চিন্তা করতে গিয়ে আরও শাণিত হচ্ছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার জন্য এটা বড় মঞ্চ। এই প্রথম এমন বড় জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছি। অবশ্যই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি একটা ম্যাচ থেকে। আমার কোন কোন জায়গায় ঘাটতি ছিল, ভুল ছিল… আসলে কিভাবে করতে হবে এটা মাথায় আরও ক্লিয়ার হয়েছে। আপনারা জানেন, আমি আরও দুই আড়াই বছর আগে অধিনায়কত্ব করেছি। অনেক দিন পর এমন চিন্তা-ভাবনা করছি।’
তিনি জানান, ‘আমার যে জায়গায় ল্যাকিংস ছিল সেই জায়গা নিয়ে আমার টিমমেট কোচ উনারা আলোচনা করবেন। অবশ্যই শেখার কোনো শেষ নেই। এটা আমার জন্য বড় মঞ্চ, আমি এখান থেকে নিজেকে কতোটা ম্যাচিউর করতে পারি, এটাই আসলে অনেক বড় ব্যাপার।’
ঢাকার ব্যাটসম্যানরা যখন মারকুটে ব্যাটিং করছিলেন, কিংবা যখন রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে পারছিলেন না; তখন কেমন বোধ হচ্ছিল মিরাজের? তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাটে আসলে বোলাররা মার খায়। কোনো বোলাররাই যখন কামব্যাক করতে পারে না- এটা আসলে অনেক কঠিন ছিল। যখন বোলাররা ভালো বল করে না, ব্যাটসম্যান বেশি ভালো ব্যাট করে, তখন অধিনায়কত্ব কঠিন হয়ে যায়।’
বোলিংয়ের পাশাপাশি তাই রাজশাহীর দলনেতার কাঠগড়ায় ব্যাটসম্যানের সেরা পারফরম্যান্স দিতে না পারাও। তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়, আমরা ৩০ রান বেশি দিয়েছি। এই উইকেটে ১৯০ রান তাড়া করা অনেক কঠিন। যদি ১৬০-১৭০ রানের মধ্যে রাখতে পারতাম আমাদের জন্য সুযোগ থাকত। ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে এই স্কোরেও হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারত।’
আরও পড়ুন: বিপিএলে আজ মুখোমুখি স্মিথ-ওয়ার্নার