অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা
জর্জ ফ্লয়েডের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর পরে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিশ্ব। ক্রিকেট জগতেও পড়েছে এর ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরে দক্ষিণ আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটাররা আওয়াজ তুলেছেন। সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যাশওয়েল প্রিন্স বলেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্য একতা নেই বরং ভঙ্গুর।
সম্প্রতি ক্রিকেটে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রথম কথা বলেন ড্যারেন স্যামি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে বর্ণবাদের শিকার হওয়া এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার প্রতিবাদের পরে এই বিষয়ে কথা বলেন তার অগ্রজ মাইকেল হোল্ডিং। হোল্ডিং মুখ খোলার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররাও সাহস পান।
Also Read - বিশ্বকাপ জিতলে তবেই বিয়ে করবেন রশিদ খান
সাবেক ক্রিকেটার প্রিন্স ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দর্শকদের কাছে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার ঘটনা স্মরণ করে বলেন, দলের মধ্যে থেকেই তখন তাদেরকে সমর্থন দেয়া হয়নি। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার দল ও ব্যবস্থাকেও ভঙ্গুর বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেই সফরে প্রিন্সের সাথে আরও কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার ছিলেন মাখায়া এনটিনি ও গার্নেট ক্রুজার।
প্রিন্সের ভাষায়, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা দেখছেন তাতে প্রোটিয়া সমর্থকরা ব্যথিত ও হতাশ হতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্যি, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে একতার অভাব। আমি গত দশ ছিলাম দলের সাথে; সবই দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে সীমানায় ফিল্ডিং করার সময় আমাদের সাথে বর্ণবাদী আচরণ করা হয়েছিল; একবার নয়, একাধিকবার। মধ্যহ্ন বিরতির সময় আমরা একটা দলের নেতাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম। তখন দলের ভেতর থেকেই আমাদের বলা হয়েছিল যে, আরেহ এটা তো গ্যালারীর একপাশ থেকে কয়েক দর্শক করছে; সবাই তো না। এসব কানে নিও না।’
তবে তৎকালীন প্রোটিয়া কোচ মিকি আর্থার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ওই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সীমানা দড়ির পাশে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমার যতদূর মনে পড়ে, দলের সবাই এটা নিয়ে ব্যথিত ছিল এবং এসবের পক্ষে কথা বলেছিল না। দলে কখনোই বর্ণবাদের স্থান নেই।’