
ক্রিকেটে জুয়া নতুন কিছু নয়। বর্তমানে অনেক জায়গায় এটিকে বৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তবে খেলা যখন আইপিএল তখন ছোট-বড় সব জুয়াড়িই এতে লিপ্ত থাকেন। আইপিএলের এর আগের সবকটি আসরেও জুয়াড়িদের মেলা বসেছিল তাই এটি নতুন কিছু নয়। তবে এবার মিলল ভিন্ন খবর। আইপিএলে জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ভারতের বলিউডের প্রভাবশালী নায়ক সালমান খানের ভাই , আরবাজ খান।
গত ২৯ মে জুয়াড়ি সনু জালানকে গ্রেপ্তার করে থানে পুলিশ। তার গ্রেপ্তারের সূত্রেই উঠে আসে ভারতের এই ছবির পরিচালক ও নায়কের নাম। জানা যায় আইপিএলের এবারে আসরে কোন এক ম্যাচে সনু জালানের সঙ্গে ৩ কোটি রুপির বাজি ধরেছিলেন আরবাজ খান। সনুর সঙ্গে বাজিতে হেরেও যান আরবাজ। ফলে বাজির টাকা দিতে একটু দেরি করাতে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হয় আরবাজকে।
এই ব্যাপারে আরবাজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি তাকে। আগামীকাল থানে পুলিশের কাছে বয়ান দেওয়ার কথা রয়েছে আরবাজের। তার বয়ানের পরেই উঠে আসবে সত্য ঘটনা। তোলাবাজি-বিরোধী সেলের সিনিয়র পুলিশ প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন আরবাজের বিপক্ষে এখনো কোন প্রমাণ হাতে পায়নি তারা। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,
‘এখনো পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এটির সং কে বা কারা জড়িত ছিল সেটির জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ ও তাদের ভাষ্য লাগবে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে জুয়াড়ি সনু জালানের সঙ্গে আরবাজের সম্পর্ক বন্ধুত্বের। এর আগে বেশ কয়েকটি ইভেন্টে তাদের দুই জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়। শুধু ইভেন্টেই নয়, দেশের বাইরে একসঙ্গে ঘুরতে যেতেও দেখা গিয়েছে সনু ও আরবাজকে।
থানে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ গত ১৫ মে ডোম্বেভলী বিল্ডিংয়ে অনুসন্ধান চালায়। সেখানে ঐ বিল্ডিংয়ের এক ফ্ল্যাটে এক জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করে থানে পুলিশ। তার দুইদিন পর আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে তারা। ২৮ মে রাজেশ জোশি নামক এক ব্যক্তি, যিনি কিনা সফটওয়্যার সাল্পাই করে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ আছে শুধু আইপিএলই নয়, ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন সনু জালান। সেখানে ম্যাচ ফিক্সিং ও বাজির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ ক্যারিবিয়ানদের সহায়তায় আফ্রিদির ফাউন্ডেশন