আইয়ার-স্টার্কের নৈপুণ্যে এক যুগের খরা কাটাল কলকাতা

প্রকাশিত হয়েছে - 2024-05-04T00:51:22+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-05-04T00:51:22+06:00
১২ বছর আগে সর্বশেষ ওয়াংখেড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্টার্ক-আইয়ারের নৈপুণ্যে এক যুগের খরা ঘুচিয়ে মুম্বাইকে ঘরের মাঠে হারাল কলকাতা। এ পরাজয়ে টুর্নামেন্টে আরো খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার ফিল সল্ট আউট হন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। নুয়ান থুসারার বলে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ তুলে দেন সল্ট।
নিজের পরের ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন থুসারা। স্লোয়ার বলে ফেরান অঙ্কৃশ রঘুবংশীকে। ২ ছক্কা মারা রঘুবংশী ফিরেন ১৩ রান করে। ঐ ওভারেই চমৎকার ডেলিভারিতে ফেরান কলকাতার ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আইয়ারকে। মিড অনে থাকা টিম ডেভিডকে ক্যাচ দেন শ্রেয়াস। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় কলকাতা।
প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি সুনীল নারাইন এবং রিঙ্কু সিং। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হন সুনীল (৮)। এরপর নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে রিঙ্কুকে (৯) ফেরান চাওলা।
৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ভেঙ্কটেশকে সঙ্গ দিতে ইমপ্যাক্ট সাবস্টিউট হিসেবে নামেন মনিশ পান্ডে। ষষ্ঠ উইকেটে মনিশ ও ভেঙ্কটেশ যোগ করেন ৮২ রান। এ জুটিতে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় কলকাতা। ২ চার ও ২ ছক্কা হাঁকানো মনিশ ৩১ বলে ৪২ রান করে আউট হন পান্ডে।
লোয়ার অর্ডারের আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্কের কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। একাই শেষ ওভার পর্যন্ত লড়ে যাওয়া আইয়ার আউট হন ৫২ বলে ৭০ রান করে। ৬ চার আর ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ১০ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের স্কোর দাঁড় করায় কলকাতা।
জবাব দিতে নেমে ওপেনার ঈশান কিষাণ আউট হয়ে যান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। ১ চার ও ১ ছক্কা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও স্টার্কের বলে বোল্ড হলে ইতি ঘটে সেই সম্ভাবনার। এরপর রোহিত শর্মা ও নামান ধীর যোগ করেন ২৫ রান। নামানকে বোল্ড করে এ জুটি ভাঙেন বরুন চক্রবর্তী।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে নারাইনের বলে আউট হন রোহিত। পুল করে ক্যাচ দেন মনিশ পান্ডের হাতে। ইনিংস বড় করতে পারেননি তিলকও। ৪ রান করে বরুণের বলে নারাইনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর নেহাল ওয়াধেরাকে বোল্ড করেন নারাইন।
নারাইন-বরুণের ঘূর্ণির কোনো জবাব ছিল না মুম্বাইয়ের ব্যাটারদের সামনে। ১ উইকেটে ৩৮ রান থেকে ৭০ রানে পৌঁছাতে ৫ উইকেট হয়ে যায় তাদের।
রানের খরা কাটেনি হার্দিকের ব্যাটের। ১1 রান করে তিনি ফিরেন রাসেলের ব্যাটে। এক প্রান্ত থেকে আগলে রাখা সূর্যকুমার যাদব দেখছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিল টিম ডেভিডকে সাথে তিনি গড়েন ৪৯ রানের জুটি। রাসেলের বলে ৫৬ রান করা সূর্যকুমার আউট হয়ে এ জুটি ভাঙলে শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের আশা। এরপর মুম্বাইয়ের লোয়ার অর্ডার গুটিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক। ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন স্টার্ক, মুম্বাই অলআউট হয় ১৪৫ রান করে।
এ ম্যাচ হারার পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেল। ১১ ম্যাচে মাত্র ৩ ম্যাচ জেতা মুম্বাইকে পরের তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফল ও নেট রান রেটের ওপর।
বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের খবর সবার আগে পেতে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন BDCricTime Videos চ্যানেলটি।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।