আফিফ-রাসুলির ঝড়ো অর্ধশতকে ঢাকাকে হারাল চট্টগ্রাম
জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ৩৯ রান। আল-আমিন হোসেনের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন রাসুলি। ১৭তম ওভারেই আসে ২৪ রান।

তাহসিনা জামানক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2023-01-14T22:11:33+06:00
আপডেট হয়েছে - 2023-01-14T22:13:02+06:00
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ডমিনেটর্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করে ঢাকা সংগ্রহ করে ১৫৮ রান। আফিফ-রাসুলির ব্যাটে চড়ে ১৪ বল হাতে রেখেই আউট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। শেষ আটটি বলেই ৩৭ রান তুলেছে চট্টগ্রাম।
আফিফ
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। ধীরগতিতে শুরু করেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান গনি। মিজানুর শ্লথ ইনিংসের ইতি ঘটান নিহাদউজ্জামান। ৩৩ বলে ২৮ রান করেন মিজানুর। তিনি আউট হওয়ার পরপরই আরেক ব্যাটার উসমান দ্রুত রান তোলা শুরু করেন। ভয়ংকর হতে যাওয়া উসমানকেও শিকার করেন নিহাদ। উসমান করেন ৩৩ বলে ৪৭ রান। হাঁকান চারটি ছক্কা ও দুইটি চার।
সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন হয়েছেন ব্যর্থ। তিনে নেমে ৫ বলে ৪ রান করে শুভাগত হোমের শিকার হন সৌম্য। একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন মিঠুন। তারপর ঢাকার হাল ধরেন নাসির হোসেন। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩০ রান। আরিফুল হক করেন ১৮ বলে ২৯ রান। ফলে লড়াকু সংগ্রহ পায় ঢাকা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে নাসিরের দল। চট্টগ্রামের পক্ষে নিহাদ ও মেহেদী হাসান রানা দুইটি করে উইকেট নেন।
এদিকে বোলিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট পায় ঢাকা। চট্টগ্রামের ওপেনার আল-আমিন জুনিয়রকে বোল্ড করেন তাসকিন। আরেক ওপেনার উসমান খান ৫৫ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে। উসমানকে শিকার করেন আরাফাত সানি। তিনি করেন ২১ বলে ২২ রান।
আফিফ হাঁকান অর্ধশতক। ৩৪ বলে ৫০ রান স্পর্শ করেন তিনি। অপরদিকে দারিশ রাসুলি খেলছিলেন ধীরে ধীরে। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ৩৯ রান। আল-আমিন হোসেনের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন রাসুলি। ১৭তম ওভারেই আসে ২৪ রান। তাসকিনের ওভারেও সেই ঝড় ধরে রাখেন রাসুলি।
২৫ বলে ১৯ রান থেকে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন রাসুলি। ১৪ বল হাতে রেখেই আট উইকেটের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম। আফিফ ও রাসুলি গড়েন ৬৩ বলে ১০৩ রানের অপরাজেয় ইনিংস। রাসুলি ৩৩ বলে ৫৬ রানের পথে হাঁকান তিনটি চার ও চারটি ছক্কা। আফিফ অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৬৯ রান করে। আফিফের উইলো থেকে আসে সাতটি চার ও একটি ছক্কা।