
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কত ক্রিকেটার যে ক্রিকেটের আঙিনা ছেড়েছেন, সেই হিসেব বেশ দুঃসাধ্যই। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি। এবার চলমান এশিয়া কাপের মধ্যেই ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন একজন ক্রিকেটার।
ঐ ক্রিকেটারের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও তিনি আফগানিস্তান জাতীয় দলের কেউ বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ক্রিকেটার হচ্ছেন আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। তাকে যে বাজিকর ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি ভারতীয় বলে জানা গেছে। তবে এশিয়া কাপে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের টি-২০ লিগে ম্যাচ গড়াপেটার জন্য এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এশিয়া কাপ চলাকালে এই প্রস্তাব পেলে আফগান ঐ ক্রিকেটার দ্রুত সেটি টিম ম্যানেজমেন্টকে অবহিত করেন। টিম ম্যানেজমেন্ট অনতিবিলম্বে সেটি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে (আকসু) জানায়। অভিযোগ পেয়ে স্বভাবতই বেশ নড়েচড়ে বসেছে আকসু। শীঘ্রই ঘটনাটি নিয়ে বিষদ পর্যালোচনা করবে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগটি।
আফগানিস্তানের ক্রিকেটার শাহজাদকেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী ক্রিকেট সংবাদমাধ্যমের খবরে। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রথমবারের মত শুরু হবে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ- এপিএল। ঐ আসরে পাকতিয়া দলের হয়ে খেলবেন শাহজাদ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগগুলোতে বাজিকরদের দৌরাত্ম্য নিয়ে আগে থেকেই উদ্বিগ্ন ছিল আইসিসি। শাহজাদের (সম্ভাব্য) এই প্রস্তাব পাওয়ার ঘটনা ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও ভাবিয়ে তুলতে পারে।
এদিকে আকসুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত এক বছরে পাঁচটি দেশের অধিনায়ক ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছেন বাজিকরদের কাছ থেকে। এর মধ্যে চারজনই টেস্ট খেলুড়ে দেশের অধিনায়ক বলে জানা গেছে। তাদের একজনের নাম অবশ্য জানা গেছে। পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ইতোমধ্যে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সর্বশেষ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘চলতি এশিয়া কাপে একটা প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানা গেছে। তবে সেটা তাদের নিজস্ব টি-২০ লিগের জন্য। শনিবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়টা আমরা জানতে পেরেছি। আকসু সেটা খতিয়ে দেখছে।’
আরও পড়ুন: ‘রশিদকে খেলা যায় না এমন নয়’