কোণঠাসা ব্যাটিংয়ের দিনে উজ্জ্বল তাসকিন-তাইজুল
প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। রায়ান কুক একাদশের এই দুই বোলার নিয়েছেন মোট তিনটি করে উইকেট। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ওটিস গিবসন একাদশের পক্ষে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। সাইফ সর্বোচ্চ ৬৪ ও সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান।

প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মোট ৬৩.৪ ওভার। আর তাতেই অল-আউট হয়ে গেছে ওটিস গিবসন একাদশ। দিনের নাটকীয় শেষ সেশনে ৫ ওভারের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে দলটি।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওটিস গিবসন একাদশ। ইনিংসের প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ হাসান। যদিও তার ক্যাচ এ যাত্রায় লুফে নিতে ব্যর্থ হন সাদমান ইসলাম। সাইফের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলেও, ভাগ্য সহায় হয়নি ইমরুল কায়েসের। ব্যক্তিগত ৭ রানে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত’র সাথে জুটি গড়েন সাইফ। দুজনে মিলে রায়ান কুক একাদশের বোলারদের সামাল দিতে থাকেন বেশ ভালো ভাবে। তবে বিপত্তি ঘটে সাইফের বিদায়ে।
একবার জীবন পাওয়া সাইফকে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। এতে করে দলীয় ১১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওটিস গিবসন একাদশ। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান শান্ত’ও। অর্ধশতক থেকে ৮ রান দূরে থাকা শান্ত’র উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর লিটনকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিয়াদ। তবে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি এ জুটি। ব্যক্তিগত ৭ রানে খালেদ আহমেদের বলে লিটন বোল্ড হলে বিচ্ছিন্ন হয় এ জুটি।
এর কিছুক্ষণ পর তাসকিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউটের আগে করেন ৩৪ রান। রিয়াদের বিদায়ে দল যখন কোণঠাসা তখন হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন। সাবলীল গতিতে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য পূর্ণ করেন অর্ধশতক। মাইলফলক স্পর্শের পর ছন্দ হারান তিনি। ব্যক্তিগত ৫১ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সৌম্যর মাঠ ছাড়ার পর রোমাঞ্চ ছড়ান তাইজুল। টানা দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। ঠিক তার পরের বলে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। যার ফলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পান বাঁহাতি এ স্পিনার। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন এবাদত হোসেন। হ্যাটট্রিক বলটি ঠেকিয়ে দেন তিনি। যার ফলে দুই বলে দুই উইকেট নিয়েই শান্ত থাকতে হয় তাকে।
এমন রোমাঞ্চের পর মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে বল তুলে দেন রায়ান কুক একাদশের অধিনায়ক মুমিনুল হক। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। আস্থার প্রতিদান দিয়ে শিকার করেন দুই উইকেট। যার ফলে ২৩০ রানে থামে ওটিস গিবসন একাদশের প্রথম ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড-
ওটিস গিবসন একাদশ : ৬৩.৪ ওভারে ২৩০-১০
ইমরুল ৭, সাইফ ৬৪, শান্ত ৪২, রিয়াদ ৩৪, লিটন ৭, সৌম্য ৫১, মোসাদ্দেক ১৩ ; তাসকিন ৪৪-৩, তাইজুল ৭০-৩, মিঠুন ৫-২।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।