
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এসে কত অখ্যাত ক্রিকেটার বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়ে যান। উমরান মালিক তাদেরই একজন। তবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উঠে আসা উমরানের উত্থানটা অনেকটা রূপকথার গল্পের মত। তার গতিময় বোলিংয়ের রহস্যটা কী- তা জানতে উন্মুখ সবাই।

গত আইপিএলে নেট বোলার থেকে হুট করে জায়গা মেলে স্কোয়াডে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ভালোই করেছিলেন। যার কারণে এবার তাকে দল ধরে রাখে, যেখানে অনেক তারকাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল নিলামের জন্য। সুযোগ পেয়ে উমরান এবার নিজেকে আরও শাণিত করে এসেছেন।
আইপিএলের পঞ্চদশ আসরে তার একেকটি বল যেন আগুনের গোলা। উপমহাদেশের উইকেটে নিয়ম করে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ছাড়িয়ে বল করছেন। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৫৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বল করেন।
এবারের আসরে এটাই সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। সার্বিকভাবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সর্বোচ্চ শন টেইটের ১৫৭.৭১, ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে)। উমরান মালিক বলে-কয়ে কীভাবে এত গতির ঝড় তুলছেন, তা খোলাসা করেছেন উমরান মালিকের কোচ রণধীর সিং।

তিনি জানান, মাত্র ১৭ বছর বয়সে উমরান নদীর বালির ওপরে দৌড়াতেন। সে সময় তার কোমরে বাধা থাকত বালুভর্তি সাইকেলের দুটি টিউব। এভাবেই বাড়িয়েছেন শক্তি, এখন যার ফল পাচ্ছেন হাতেনাতে।
রণধীর সিং বলেন, ‘প্রথম দিন ওকে নেটে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এত জোরে বল করতে শুরু করেছিল, বাধ্য হয়ে থামিয়ে দিয়েছিলাম! বলেছিলাম প্রত্যেক দিন অনুশীলনে আসতে। কিন্তু এক দিন আসত, আবার সাত দিন আসত না।’
তখন কোচ আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করেন উমরান সম্পর্কে। তার ভাষায়, ‘জানতে পারলাম, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে টেনিস বলে খ্যাপ খেলে টাকা উপার্জন করে। তখন ওর গতির রহস্য জানার চেষ্টা করি। ওর কাছেই জানতে চাই, কী করে এতটা গতিতে বল করছে। উমরানই আমাকে জানায়, বালির উপরে কোমরে টিউব পরে দৌড়নোর কথা।’
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।