
অবসরের পরে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে কোচিংয়ের নিয়মিত মুখ ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি কোচিং থেকে সরে দাঁড়ান। বিডিক্রিকটাইমের সরাসরি বিশেষ আড্ডায় ঘরোয়া লিগে কোচিং ছেড়ে দেয়ার কারণ বলার সময় ঘরোয়া লিগগুলোর প্রকৃত রূপ ফাঁস করেছেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচিং থেকে পাইলটের সরে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাবলীলভাবেই দুর্নীতিগুলো প্রকাশ করে দেন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করানোর পরিবেশ নেই বলেও পরোক্ষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
পাইলট বলেন, ‘আমার কাছে পরিবেশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝেও ভালো-মন্দ থাকে। আমি কাউকে দোষারোপ করব না। কিন্তু আমাদের বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। আপনি যদি সমস্যা সৃষ্টি করেন তাহলে আপনি খেলার মাঠে ফল পাবেন না। এটা খুবই কঠিন।’
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, তিনি চান ঘরোয়া লিগ একটি দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান ভিত্তি হবে। এখানে ভালো খেলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা উঠে আসবে। খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করবে। কিন্তু যখন সবকিছু আগে থেকেই কাগজে কলমে ঠিক করা থাকে তখন আর সেই পরিবেশ থাকে না।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন খেলোয়াড় ছিলাম, বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলাম; আমি চাই খেলা (ম্যাচ) হবে পরিষ্কার। সেখান থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা বের হয়ে আসবে। এখানে যেন কারও কোনো ক্ষতি না হয়। কিন্তু যখন আপনি আগেই জানবেন, এই দলটা চ্যাম্পিয়ন হবে কিংবা এই দলটাকে ব্যবহার করা হবে… এটা কেমন!’
পাইলট তার নিজের দল নিয়েও এমন দুর্নীতির ভুক্তভোগী হয়েছেন। সেই ম্যাচের কথাও জানিয়েছেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
পাইলটের ভাষায়, ‘আমি নিজেও ভুক্তভোগী। ধরেন দুইটা মাঠ পাশাপাশি, ম্যাচ হবে। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে। পাশের মাঠ ম্যাচ হচ্ছে (নারী দলের), কিন্তু বৃষ্টির কথা বলে আমাদেরটা হচ্ছে না। আমরা জানি, রোদ পড়লেই ২-৩ ঘণ্টা পর শুকিয়ে যাবে। কিন্তু লাঞ্চের সময়েও দেখি উইকেট ভেজা, কাভার দেয়া। আমি একজন অধিনায়ক বাদ দিলাম। একজন মানুষ হিসাবে কী আপনি এগুলো মেনে নিবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো রোদের মধ্যে কাভার দিয়ে রেখেছে। দুপুর ৩টার সময়েও পিচ সেরকম ভেজা। আমি চিন্তা করলাম এটা কীভাবে সম্ভব। পাশের পিচগুলো শুকনো। আমরা সবাই জানতাম, আমাদের প্রতিপক্ষের লিগ বাঁচাতে ১ পয়েন্ট লাগতো। যদি একটা দলকে সমর্থন করে লিগ আয়োজন করা হয় তাহলে আর এখানে কোচিং করানোর কিছু থাকে না। খেলোয়াড়দেরও নিজেদের বলতে কিছু থাকে না।’
পাইলট সাথে যুক্ত করেন, ‘প্রথম থেকেই অনেক ইচ্ছা ছিল, উন্নত দেশগুলোর মতো আমরা আমাদের দেশে যেগুলো (সুযোগ-সুবিধা) পাইনি, সেগুলো যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পায়। আমরা যেন আরও উঁচুমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উন্নতি করতে পারি। আসলে সেই পরিবেশটা পাইনি যদি কখনো সুযোগ আসে, আমার মেধা পরিশ্রম করে যতটুকু কাজে লাগানো যায়; আমার স্বপ্ন যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা আবার করব।’
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।