চার অধিনায়কের ম্যাচে শেষ হাসি তামিমের
মিরপুরে আজ বসেছিল তারার মেলা। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। বাংলাদেশ দলের চার অধিনায়ক একসাথে খেলতে নেমেছিলেন এ ম্যাচে। যেখানে শেষ হাসি তামিম ইকবালের।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তামিম। টেস্টের নেতৃত্ব আছে মুমিনুল হকের কাঁধে। টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিয়েছেন আকবর আলী।
ডিপিএলে আজ এ চার অধিনায়ক একসাথে মাঠে নেমেছিলেন। যেখানে প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করেন তামিম। বাকি তিনজন অর্থাৎ রিয়াদ, মুমিনুল ও আকবর খেলেন গাজী গ্রুপের হয়ে। এ ম্যাচে গাজীকে ৯ রানে হারিয়ে অধিনায়কদের মধ্যে শেষ হাসি তামিমের।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে গাজী গ্রুপের সামনে ২৫২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জাকির হাসানের উইকেট হারালেও সৌম্য সরকার ও মুমিনুলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় গাজী গ্রুপ। ৪৯ রানের পার্টনারশিপের মাথায় মুনিনুল ২৮ রানে আউট হবার পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ১০৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
৪৯ রানে সৌম্য আউট হলে বিপাকে পড়ে গাজী গ্রুপ। মাঝে রিয়াদ (৩২) ও আকবরের (৩১) পর ব্যাট হাতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। বিপিএলের মতো ডিপিএলেও মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। লড়েছেন ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত।
যদিও শেষ পর্যন্ত, অর্ধশতক হাঁকানো মেহেদীর অপরাজিত ৫৬ রানের সুবাদে হারের ব্যবধানটাই কমেছে শুধু। পরে ২৪২ রানে থামে গাজী গ্রুপের ইনিংস। ফলে ৯ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক।
এর আগে টস হেরে দলীয় অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে ইনিংস শুরু করতে এসে সুবিধা করতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ফিরেছেন খালি হাতে। তামিমও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ, প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১৯ রান করে।
এরপর রাকিবুল হাসান ৫ রান করে আউট হলে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। ২৭ রানে থাকা মিঠুনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরই এক ফাঁকে অবশ্য নিজের অর্ধশতক তুলে নেন রনি। শেষপর্যন্ত রিয়াদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন ৭৯ রানে। ১০৪ বলের ইনিংসটি ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান সাজিয়েছেন ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মারে।
শেষদিকে অর্ধশতক হাঁকানো নাহিদুল ইসলামের ৫৩ ও নাঈম হাসানের অপরাজিত ৪৬ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
প্রাইম বাংক: ২৫১/৬ (৫০ ওভার)
রনি৭৯, নাহিদুল ৫৩*, নাঈম ৪৬*, মিঠুন ২৭; রিয়াদ ৩/৫৩, নাসুম ২/৪০।
গাজী গ্রুপ: ২৪২/৯ (৫০ ওভার)
মেহেদী ৫৬*, সৌম্য ৪৯, রিয়াদ ৩২, আকবর ৩১; নাহিদুল ২/৩০, কাপালি ২/৩২।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ৯ রানে জয়ী।