
জসিমউদ্দিন ও মোহাম্মদ আশরাফুলের অর্ধশতকে ভর করে খেলাঘরকে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। এ জয়ের সুবাদে রেলিগেশন থেকেও বেঁচেছে দলটি।
সাভারে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খেলাঘর। শুরু থেকেই কলাবাগানের বোলাররা চেপে ধরে খেলাঘরের ব্যাটসম্যানদের। অষ্টম ওভারে দলীয় ২১ রানের মাথায় নাবিল সামাদের বলে ফিরে যান রবিউল ইসলাম রবি। রবির বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি আরেক ওপেনার সালাহউদ্দিন পাপ্পু। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
দলীয় ৩৬ রানের মাথায় সঞ্জিত সাহার বলে এলবিডব্লিউ হন নাফিস ইকবাল। ১০ রান করে আশরাফুলের শিকার হন অমিত মজুমদার। ৪৯ রানেই চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৭২ রানের মাথায় সাদ নাসিম ফেরান সুরাজ রন্দিভকে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রাফসান আল মাহমুদ ও আরিফুজ্জামান সাগর। ১১৩ রান যোগ করেন এ দুজন। ৯৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন রাফসান। সাগরের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। তাদের এ জুটির সুবাদে ২০৪ রান করে খেলাঘর।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাসামুল ও জসিমউদ্দিন ইনিংসের সূচনা করেন ৫০ রানের জুটি দিয়ে। ৪৫ বল্ব ১৭ রানের মন্থর ইনিংস খেলে রন্দিভের শিকার হন তাসামুল। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল ও জসিউমউদ্দিন ১০৪ রান যোগ করেন।
ধীরলয়ে ব্যাট আশরাফুল। লক্ষ্য হাতের নাগালে থাকায় কোনো তাড়া ছিল না কলাবাগানের মাঝে। ধীরেসুস্থে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় তারা। ১০৫ বলে ১১ চারে ৮৯ রান করেন জসিমউদ্দিন। ১৫৪ রানের মাথায় তানভীর শিকার হন তিনি। ১৭ রান করে তুষার ইমরান ফিরে যান রন্দিভের বলে। এরপর ১০৬ বলে ৫৬ রান করে রন্দিভের বলে স্টাম্পিং হন আশরাফুল। মুক্তার আলি ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র মিলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় দলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ খেলাঘর ২০৪/৭, ৫০ ওভার
রাফসান ৭১, সাগর ৪৬, পাপ্পু ২২
নাসিম ৩/৩৪, সামাদ ২/৩০
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ২০৫/৫, ৪৭.৫ ওভার
রাফসান ৮৯, আশরাফুল ৫৬, তুষার ইমরান ১৭
রন্দিভ ৩/৩১, রাফসান ১/৪০
-আজমল তানজীম সাকির, প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটাইম ডট কম