
গ্রুপ ‘বি’ এর প্রথম ম্যাচে ওভালে ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারুণ্য নির্ভর অনভিজ্ঞ শ্রীলংকা দলকে।
টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল শুরু করে লঙ্কান বোলাররা। উনিশ মাস পরে খেলতে নেমে ভালই বল করেছেন লঙ্কান দলের অভিজ্ঞ কান্ডারি লাসিথ মালিঙ্গা। প্রথম দশ ওভারে আফ্রিকানরা বোর্ডে জমা করে মাত্র ৩২ রান। যদিও জমা ছিল সবগুলো উইকেটও।
নুয়ান প্রদীপ প্রথম আঘাত হানেন আফ্রিকান শিবিরে। ৪২ বলে ২৩ করা ডি কক কে ফেরান তিনি। এরপর আমলা আর ডু প্লেসিস মিলে সামাল দিতে থাকেন ইনিংস। এ দুজনের জুটি থেকে আসে ১৪৫ রান।
৫২ বলে ৫০ তুলে নেয়া ডু প্লেসিস শেষ পর্যন্ত করেন ৬ চারে ৭০ বলে ৭৫ রান। অন্য প্রান্তে ব্যাট চালাচ্ছিলেন আমলা। ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নেন আমলা। মাঝের ওভারে বেশি সুবিধা করতে পারে নি কেউই। ডট বল দিয়ে রান আটকাতে সক্ষম হয় লংকানরা।
কিন্তু আমলা ঠিকই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি। সবচেয়ে দ্রুত ১৫১ ইনিংসে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেন নি। আউট হয়েছেন ৫ চার আর ২ ছয়ে ১০৩ রান করে।
এরপর মিলার ও ডি ভিলিয়ার্স দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে চাপ সামাল দেয় ডুমিনি ও মরিসের ৪৫ রানের জুটি। ১৯ বলে ২০ করে আউট হন মরিস। অন্যদিকে ২০ বলে অপরাজিত ৩৮ করেন ডুমিনি।
শেষমেশ ৩০০ এর এক রান আগে থামে তাদের ইনিংস। প্রদিপ নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট। এর প্রেক্ষিতে ঝড়ো শুরু করে লংকানরা। মাত্র ৮.২ ওভারে ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৯ রান। এক ছয় আর ৫ চারে ৩৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ডিকওয়েলা। প্রথম উইকেট পতনের পরেই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে ফেভারিট আফ্রিকা। ব্যাটিং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় যখন আক্রমণে আসেন স্পিনার ইমরান তাহির। এক অধিনায়ক থারাঙ্গা ছাড়া দাঁড়াতে পারেন নি কেউই। ৬৯ বলে ৫৭ করে আউট হন থারাঙ্গা।
আর কোন জুটি দাঁড়াতে না পারলে ২০৩ রানে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঘরে ফেরে লংকানরা। ৯৬ রানের জয়ে লংকানদের সাতে ঠেলে দেয় আফ্রিকানরা। ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তাহির। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন কুশল পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ২৯৯/৬ (আমলা ১০৩, ডু প্লেসিস ৭৫, প্রদিপ ২৫৪)
শ্রীলংকাঃ ২০৩ (থারাঙ্গা ৫৭, পেরেরা ৪৪*, তাহির ৪/২৭)
-রাইয়ান কবির, প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটাইম ডট কম