তানভির ও মেহেদীর রান-আউটে খেলায় ফিরল বাংলাদেশ
ডি-এল মেথডে ৩৬ ওভারে ২১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল ভারত। বাংলাদেশি বোলারদের দফারফা করে রান করে চলেছিল দ্রুত গতিতে। অবশেষে সফরকারী শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন তানভির ইসলাম। ভুপেন্দ্র জয়সালকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন তিনি। এর কিছুক্ষণ মেহেদীর রান-আউটে সাজঘরের পথ ধরেছেন অপর ওপেনার মাধব কৌশিকও।
২১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করে ফেলেছিল ভারত অনূর্ধ্ব ২৩ দল। তাও আবার কোনো উইকেট না হারিয়ে। বাংলাদেশি বোলারদের যখন খুব সহজেই খেলে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা তখন সফরকারীদের ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন তানভির।
৩৪ রান করা ভুপেন্দ্রকে তিনি আউট করেছেন লেগ-বিফোর করে। কিছুক্ষণ পর মেহেদীর দুর্দান্ত থ্রোতে রান-আউটে কাটা পড়েন মাধব। আউট হওয়ার আগে তিনিও করেন ৩৪ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ে ম্যাচে ফিরেছে সফরকারীরা।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ২৪ ওভার শেষে স্বাগতিক ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৯ রান। জয়ের জন্য ৭২ বলে দলটির প্রয়োজন আরও ৮৯ রান।
এর আগে লখনৌতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন এনে মেহেদীকে সাথে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন সাইফ। অধিনায়ককে আস্থার প্রতিদানও দেন মেহেদী। শুরু থেকেই সাবলীল গতিতে ব্যাট করতে থাকেন এ ব্যাটসম্যান। যদিও শেষ পর্যন্ত ইনিংসটাকে বেশি বড় করা হয়ে ওঠেনি তার।
৪ আর ও ১ ছক্কায় রান ২৫ রান করে আউট হন তিনি। তার আউটের ফলে দলীয় ৫২ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। মেহেদী আউট হলেও এর প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেননি সাইফ। রানের চাকা সচল রেখে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি।
৩ চার ও ১ ছক্কায় পূর্ণ করেন অর্ধশতক। মাইলফলক স্পর্শের পর ব্যক্তিগত ৬৪ রানে আউট হয়ে যান তিনি। তার বিদায়ের পর ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ৩৬ ওভার খেলে স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ১৪৯ রান জমা করে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এসময় ৪৭ রান নিয়ে ফারদীন হাসান অনি ও ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির চৌধুরী রাব্বি।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আর ব্যাট করার সুযোগ পেলে ডি-এল মেথডে জয়ের জন্য ভারতের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৬ ওভারে ২১৮ রান।