তামিম-মুমিনুলে স্বপ্নের মতো দিন পার পূর্বাঞ্চলের
তামিম ইকবালের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে স্বপ্নের মতো একটা দিন কাটল পূর্বাঞ্চলের। এ দুই ব্যাটসম্যানের কল্যাণে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১৮৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল দলটি।
মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংসের জবাবে দিনের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে পূর্বাঞ্চল। অনেকটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে ইনিংস শুরু করেন তামিম। পিনাক ঘোষকে সাথে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন তিনি। ব্যক্তিগত ২৬ রানে শুভাগত হোমের বলে পিনাক আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি।
এরপর তামিমের সাথে ক্রিজে যোগ দেন দলনেতা মুমিনুল। তামিমের মারমুখী ব্যাটিংয়ের বিপরীতে তিনি করতে থাকেন স্বভাবসুলভ ব্যাটিং। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯৬ রান যোগ করেন তারা। তামিমের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুলও।
১২৬ বল মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে খেলেন ১৪টি চারের মার। সেঞ্চুরি করে এ যাত্রায় থেমে যাননি তিনি। বরং সাবলীল গতিতে ছুটেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে।
শুভাগত হোমের করা ইনিংসের ৭৯তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে যা স্পর্শ করেন তিনি। মাইলফলক স্পর্শ করতে তামিমকে খেলতে ২৪২ বল। ২৯ চারের সাহায্যে ইনিংসটি সাজান তিনি। তার ডাবল সেঞ্চুরির পর একই ওভারে সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১৮০ বল মোকাবেলায় ১১ চারে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
যদিও সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে থামে তার ইনিংস। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয় ২৯৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
সেট ব্যাটসম্যান মুমিনুলের বিদায়ের পর ইয়াসির আলিকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন তামিম। দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোরবোর্ডে পূর্বাচঞ্চলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯৫ রান। ২২২ রানে তামিম ও ২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন ইয়াসির। আগামীকাল এখান থেকে আবারও ইনিংস শুরু করবেন তারা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রানে অল-আউট হয় মধ্যাঞ্চল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘন্টা ব্যাট করে একমাত্র অর্ধশতকটি তুলে নেন এ ওপেনার। ৩৩৩ মিনিট ক্রিজে থেকে এ রান করেন তিনি। সাইফ ছাড়া তাইবুর রহমান ৪৬, সৌম্য সরকার ৩৬ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ’র ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
পূর্বাঞ্চলের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট। ২২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮ মেডেনের বিপরীতে ৫৮ রান দিয়ে এ সাফল্যর দেখা পান তিনি। তাছাড়া আবু জায়েদ রাহী ও নাঈম হাসান লাভ করেন দুটি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নিজের নামের পাশে যোগ করেন হাসান মাহমুদ।
প্রথমবারের মত বিডিক্রিকটাইম নিয়ে এলো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। বাংলাদেশ এবং সকল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বল বাই বল লাইভ স্কোর, এবং সাম্প্রতিক নিউজ সহ সবকিছু এক মুহূর্তেই পাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অনলাইন পোর্টাল BDCricTime এর অ্যাপে। অ্যাপটি ডাউনলোড করতে গুগল প্লে-স্টোর থেকে সার্চ করুন BDCricTime অথবা ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।