
বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রয়েছেন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী। দেশের বাইরে খেলতে গেলে প্রবাসীদের সমর্থন আর ভালোবাসায় সিক্ত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ব্যতিক্রম ছিল না এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এদিন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, যার ভেন্যু ছিল আসরের আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতি পরিচিত ক্রিকেট গ্রাউন্ড দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া দুই দল- বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা কেউই ছিল না স্বাগতিকের ভূমিকায়। কিন্তু স্টেডিয়ামের গ্যালারী ঠাসা ছিল বাংলাদেশি সমর্থকে, আর তাতে মনে হয়েছে যেন ঘরের মাঠে খেলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
ম্যাচের একটা অংশে মনে হয়েছে, ম্যাচের ভেন্যু মিরপুর বা চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ চার বা ছক্কা হাঁকালে কিংবা শ্রীলঙ্কার উইকেট পতন ঘটলেই উল্লাসে ফেটে পড়ছে পুরো স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের রাজসিক জয়ের পেছনে সমর্থকদের বড় অবদান তাই ছিলই। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সেই দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না।
শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশেই শেষ নয়, মাশরাফি অবিস্মরণীয় এই জয় উৎসর্গ করেছেন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে থেকে দলকে সমর্থন জানানো দর্শকদের। দর্শকদের কিছু অংশ দেশ থেকে গিয়েছেন দলকে সমর্থন দিতে, তবে বেশিরভাগই প্রবাসী। মাশরাফি জয় উৎসর্গ করেছেন সব ধরণের দর্শককেই। দিনশেষে সবার পরিচয় যে একটাই- বাংলাদেশের সমর্থক!
মাশরাফি বলেন, ‘যারা আজ মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করছেন, দেশ থেকে এসেছেন কিংবা আরব আমিরাতে থাকা প্রবাসীরা… এটা (বিপুল সমর্থন) সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতেও এমন সমর্থন চান মাশরাফি। দর্শক ও সমর্থকদের জয় উৎসর্গ করে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি দর্শকদের নিয়ে আলাদা করে বলতে চাই. তারা প্রথম বল থেকে যেভাবে সমর্থন দিলো, এটা দারুণ। আমাদের দলের জন্য অসাধারণ। এই জয়টা আপনাদের জন্য। সকল প্রবাসী বাঙালিদের অনেক ধন্যবাদ। টুর্নামেন্টের বাকি সময়েও আমাদের এমন সমর্থন প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবির আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: টুইটারে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তামিম ইকবাল