
ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে নজরকাড়া বোলিং করে চলেছেন তাসকিন আহমেদ। চা পানের বিরতির আগ পর্যন্ত শিকার করেছেন চার-চারটি উইকেট। যার সবকয়টি এসেছে প্রতিপক্ষ শিবিরের ব্যাটসম্যানদের স্টাম্প উপড়ানোর মাধ্যমে। তার বোলিং তোপে ইতোমধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিক দলটি।
১ রান করা হার্দিককে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে সারদেশাই (৮), শুভহাম (১০), আমানকে (১২) সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ ধরিয়েছেন ডানহাতি গতি-তারকা তাসকিন।
২৪ বছর বয়সী এ পেসারের বিপরীতে সফরকারী বোলারদের মধ্যে সাফল্য পেয়েছেন নাঈম ও শহিদুল। উভয়েই লাভ করেছেন একটি করে উইকেট। সফরকারী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে গেছে স্বাগতিকরা।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের ৫ উইকেটে করা ২৬১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বিসিবি একাদশ। শুরুতেই ২৬ রান করা সাইফের উইকেট হারায় সফরকারীরা। অনেকটা একা হাতে লড়তে থাকা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন এর কিছু মুহূর্ত পরেই। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে তিনি আউট হলে দলীয় ২৯১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।
তার বিদায়ের পর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয় ব্যাট হাতে চমক দেখাতে। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। যার ফলে দলীয় ৩০৬ রানে থামে বিসিবি একাদশের প্রথম ইনিংস।
প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মধ্যে মুকেশ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। বাকি বোলারদের মধ্যে আকিব, সাইরাজ ও নওশাদ প্রত্যকেই লাভ করেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (১ম ইনিংস): ১০২.৫ ওভারে ৩৩১/১০
সারদেশাই ১২৮, শুভম ৫০, আমান ৪৩; তাইজুল ৩৩.৫-৭-১৪৪-৬,তাসকিন ২৩-৫-৪৭-২, শহিদুল ২০-৪-৪২-১, নাঈম ১৮-৩-৭০-১, আরিফুল ৮-৩-১৯-০।
বিসিবি একাদশ (১ম ইনিংস): .৩০৬/১০
জহুরুল ৪৪, সাদমান ৪৯, মুমিনুল ১৮, শান্ত ৩৪, সোহান ৮৭, আরিফুল ১৪, সাইফ ২৭, নাঈম ১০, তাইজুল ২, শহিদুল ০, তাসকিন ১; মুকেশ ১৬-২-৬৫-৩।
ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (২য় ইনিংস): ৪০ ওভারে ১৬৮/৬
নওশাদ ৬৯*, সরফরাজ ৩৬; তাসকিন ১২-২-৩৪-৪, শহিদুল ১২-৪-৩৫-১, নাঈম ৫-০-৩৮-১।