দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ আশরাফুল, সাদমানের শতক
খুলনায় অনুষ্ঠেয় বিসিবি লাল দল ও সবুজ দলের মধ্যকার অমিমাংসিত ‘ড্র’ হওয়া ম্যাচে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধে করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সবুজ দলের সাদমান ইসলাম। তার শতকের বিপরীতে বল হাতে দুই ইনিংসেই আলো ছড়ান সবুজ দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন তিনি।

শেষ দিনে এসে দারুণ উত্তেজনা তৈরী হয় দু’দলের মধ্যকার ম্যাচটিকে ঘিরে। ওভার নির্ধারণ করে দেওয়ায় টান-টান উত্তেজনার দেখা দেয় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে।
আগের দিনের ৪ উইকেটে করা ১৬৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বিদের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ২৮৩ রানে অল-আউট হয় বিসিবি লাল দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর সবুজ দলকে বেধে দেওয়া হয় ৪০ ওভার। প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই ঘটে এমন ঘটনা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় দলটি। সাদমান ইসলামের অপরাজিত ১০০* ও জাকির হাসানের ৬৮ রানের পাশাপাশি মাহমুদের ৪৫ ও মিজানুরের অপরাজিত ১৮ রানে চড়ে ৩৩ ওভার ব্যাট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৩৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি।
Also Read - 'আমরা শুরুতে কেউ বীর-পালোয়ান ছিলাম না"এরপর ২৪২ রানের জয়ের লক্ষ্যে একইদিন আবারও ব্যাট করতে নামে লাল দল। তবে এবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের তোপের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লাল দল। প্রথম ইনিংসে ১ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর আশরাফুল এ ইনিংসে সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণের।

তবে এ যাত্রায়ও ব্যর্থ হন তিনি। বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংস শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১৩ রানেই থামেন তিনি। ১৩ রানে আউট হয়ে তার সাজঘরের ফেরার পর আল-আমিন জুনিয়রের ২১ ও ইফতেখারের অপরাজিত ১৮ রানে হার এড়াতে লড়ে যায় লাল দল। শেষ পর্যন্ত আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা ২ ওভার বাকি থাকতে ম্যাচটি অমিমাংসিত ‘ড্র’ ঘোষণা করা হলে হার এড়ায় আশরাফুলরা।
দ্বিতীয় ইনিংসেও আলো ছড়িয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল। তাছাড়া সবুজ দলের বোলারদের মধ্যে এবাদত ও খালেদ শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড-
বিসিবি সবুজ দল: প্রথম ইনিংসে ২৮৯/৯ ডিক্লেয়ার।
ইমরুল ৫৮, সাদমান ৭, জাকির ১৩, মাহমুদ ১৪, মিজানুর ১৫, তানবীর ১৭, সোহান ১০১*, মেহেদি ৩১, তাইজুল ১২, রাব্বি ৫, খালেদ ০*; আবু জায়েদ ২/৪৫, তাসকিন ১/৪৪, ইফতেখার ১/৪৯, আল আমিন জুনিয়র ৪/৩৮, সানজামুল ০/৫৪, সৌম্য ০/৯, জুবায়ের ১/৪৪।
বিসিবি লাল দল: প্রথম ইনিংসে ওভারে ২৮৩
সাইফ ২৪, সৌম্য ৪৮, আল আমিন জুনিয়র ৮, মার্শাল ৬৮, আশরাফুল ১, আফিফ ৩২, মাহিদুল ৭, ইফতেখার ২০, সানজামুল ৬, তাসকিন ৪৯*, আবু জায়েদ ১৩; খালেদ ২/৬০, রাব্বি ২/৬৯, তাইজুল ৪/৫২, মেহেদি ০/২৩, এবাদত ১/৩৬, তানভীর ০/২৬, তানবীর ১/১৫।
বিসিবি সবুজ দল: দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৫/২ ডিক্লেয়ার।
সাদমান ১০০*, জাকির ৬৮, মাহমুদ ৪৮, মিজানুর ১৫*; আবু জায়েদ ০/৪৬, তাসকিন ০/১৯, আল আমিন জুনিয়র ০/৩৩, ইফতেখার ০/৪৩, সানজামুল ০/২৫, আফিফ ০/২৩, জুবায়ের ০/২৫, সাইফ ১/২১।
বিসিবি লাল দল: দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ ওভারে ১১৭/৯
সাইফ ১, আল আমিন জুনিয়র ২১, মার্শাল ৯, আশরাফুল ১৩, আফিফ ১৪, মাহিদুল ৭, ইফতেখার ১৮*, সানজামুল ৬, তাসকিন ১৬, জুবায়ের ৫, আবু জায়েদ ৪*; খালেদ ২/১৭, এবাদত ২/১৬, তাইজুল ৪/৩২, কামরুল ১/৩২, মেহেদি ০/৩, তানভীর ০/১, তানবীর ০/১৩।
ফলাফল: ড্র
আরও পড়ুনঃ “আফগানিস্তানের থেকে আমরা ভালো দল”