ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ মুশফিক
এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। বরিশালের বিপক্ষে ছোট পুঁজি নিয়ে জিতলেও, ময়াচে অনেক মিসফিল্ডিং হয়েছে ঢাকার ফিল্ডারদের। যার কারণে ফিল্ডিং নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা ঝড়েছে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কণ্ঠে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকাকে দুই রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল বরিশাল। অন্যদিকে বরিশালকে হারাতেই পারলেই কোয়ালিফায়ার খেলতে পারত ঢাকা। তবে প্লে-অফে সেই বরিশালের বিপক্ষেই ম্যাচ পড়ে ঢাকার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৫১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। নকআউট ম্যাচে ১৫১ রানের লক্ষ্য আহামরি কিছু না হলেও শুরু থেকেই বরিশালের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে ঢাকার বোলাররা।
Also Read - ধীরগতিতে ব্যাট করার কারণ জানালেন তামিমটার্গেট ছোট হওয়ায় এইদিন অধিনায়ক মুশফিকও বেশ আগ্রাসী ছিলেন মাঠে। ঢাকার ফিল্ডারদের মিসফিল্ডিংয়ের কারণে বেশ হতাশ ছিলেন সেটি যেন মুশফিকের চেহারায় ফুটে উঠেছিল। ম্যাচ শেষেও সেটি জানালেন ঢাকার অধিনায়ক।
“হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ছিলাম তবে এইটা খেলারই অংশ। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পেরেছে এবং অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছে যেটা কিনা ভালো লক্ষ্মণ। এই জয় সামনের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আমাদের। আশা করছি পরের ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে পারব এবং সেগুলো প্রথম ছয় ওভারে বাস্তবায়ন করতে পারব।”
টস হেরে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ রান করে ঢাকা। সেখান থেকে মুশফিকের ৩০ বলে ৪৩, ইয়াসির রাব্বির ৪৩ বলে ৫৪ এবং আকবরের ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১৫০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। ম্যাচ শেষে আকবার এবং ইয়াসিরের পাশাপাশি ম্যাচ জয়ে বোলারদের কৃতিত্ব দেন বেশি মুশফিক।
“প্রথমত, আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট যথেষ্ট ভালো ছিল। যখন আপনি প্রথমেই উইকেট হারাবেন তখন মনে হবে পিচে সুইং, টার্ন হচ্ছে। উইকেটে কোন সমস্যা দেখিনি। আমরা জানতাম এই উইকেটে ১৬০ প্লাস যথেষ্ট ভালো স্কোর। নকআউট ম্যাচে আপনি যখন রান তাড়া করবেন তখন স্বাভাবিকভাবে একটু চাপে থাকবেন এবং যেহেতু ওদের মিডল অর্ডারটা একটু অনভিজ্ঞ ছিল, টার্গেট ছিল তামিমকে যত দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরানো যায় এবং আমরা সেটা করতে পেরেছি। রাব্বি এবং আকবর খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। সবমিলিয়ে বলব বোলাররাই আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে।”