বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিলেন আল-আমিন
ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত পেসার আল-আমিন হোসেন বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর পরীক্ষা দিয়েছেন। রোববার মিরপুরে বিসিবির পরীক্ষক নাসিরউদ্দিন নাসুর কাছে এই পরীক্ষা দেন তিনি।
বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য টানা সাত ওভার বল করতে হয়েছে আল-আমিনকে। সেই বোলিংয়ের ভিডিও করা হয়েছে, এখন চলবে যার বিশ্লেষণ।
Also Read - হাথুরু'র বিদায়ে শেষ সৌম্য অধ্যায়ও!এ প্রসঙ্গে নাসিরউদ্দিন নাসু বলেন, ‘এখন আমরা ভিডিও নিলাম, এরপর সেটি এনালাইসিস করবো, তার পর এগুলো মাপা হবে। বোলিং অ্যাকশন দেখার জন্য আমরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। নরমাল ডেলিভারি, স্টক ডেলিভারি, আউট সুইং, বাউন্স।’
বল করার সময় অ্যাকশনে ত্রুটি থাকা বা না থাকা বোঝা গিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে খালি চোখে দেখে বলা খুব কঠিন। সুতরাং এটা ভিডিও দেখে বলাই ভালো।’
অবশ্য বোলিং অ্যাকশন বৈধ হয়ে থাকলেও সেই ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত আল-আমিন কোনো ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর বিপিএলে খুলনা টাইটান্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচে আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশন দেখে সন্দেহ হলে আম্পায়াররা এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন। এর আগে ২০১৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলার সময়ও আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল। এরপর দুই দফা পরীক্ষা দিয়ে বৈধতা পান আল আমিন।
তিন বছর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৫ম আসরে এসে আবার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় প্রতিভাবান ও অভিজ্ঞ এই ফাস্ট বোলারকে। যে ম্যাচে আল-আমিনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়, ঐ ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ইনিংসের ১৫তম ওভারে আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ারদ্বয়। সেই ওভারে খুলনার ব্যাটসম্যান আরিফুল হককে আউট করেছিলেন আল-আমিন।
ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রানে তিন উইকেট নেন এই পেসার। পাশাপাশি কুমিল্লা জিতে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। অ্যাকশনের ত্রুটি তখনও নিশ্চিত না হওয়ায় বিপিএলে খেলতে অবশ্য বাঁধা ছিল না আল-আমিনের।
আরও পড়ুনঃ টিম ম্যানেজমেন্টকেও মিডিয়ার সাথে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা!