বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা
বিগত কয়েক বছর ধরে আইসিসি একটু বেশিই সচেতন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো বোলার যাতে অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করে নিতে না পারেন, এজন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সেই তাড়না থেকেই দেশের ক্রিকেটেও এমন নজরদারির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। বিশেষ করে ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করে বিসিবি, যার ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি।
Also Read - জাদেজার মুস্তাফিজ-জুজু!সেই বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি এখন অনেকটাই সফল। দেশের ক্রিকেটের বোলারদের বোলিংয়ের গতিবিধি অনুসরণ করা এই কমিটি কমিয়ে এনেছে ত্রুটির পরিমাণ। একইসাথে সচেতন হয়েছেন বোলাররাও।
সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে কোনো বোলারের অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়া যায়নি, এমনটা উল্লেখ করে শনিবার সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বিসিবির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার (এমআইএস) নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু বলেন, ‘এখন ক্রিকেটাররা অনেক সচেতন। সুবিধাটা অনেক এ কার্যক্রমের। এ বছর তো কোনো আম্পায়ার কোনো বোলারের অ্যাকশন সম্পর্কে রিপোর্ট করেনি। খেলোয়াড়রা এখন অনেক সচেতন। ওরা জানে যে, ওদের বোলিং দেখভাল করা হচ্ছে।’
নাসু জানান, গোপনে বোলারদের অ্যাকশন পরীক্ষা করে থাকেন তারা, যা দেশের ক্রিকেটে হয়নি ইতিপূর্বে। তিনি বলেন, ‘এর আগে এমন কিছু করা হতো না। নির্দিষ্ট বোলারের পেছনে গোয়েন্দাগিরি হতো না। এবার অনেকটা গোয়েন্দাগিরি হয়েছে। দেখা গেছে, প্লেয়ার হয়তো জানে না, ওর বোলিং আমরা এক জায়গা থেকে রেকর্ড করেছি। পরে ভিডিও এনে আমরা এখানে বিশ্লেষণ করেছি। দেখেছি আবার মাঠে গিয়ে অন্য কিছু করে কিনা। আমরা সন্তুষ্ট যে এমন কিছু পাইনি।’
এদিকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে কয়েকজন বোলারের অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন নাসু, ‘প্রথম বিভাগের কোনো কোনো বোলার কয়েকবার পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা ছাড়পত্র দেইনি। ৪-৫ জন বোলার রিপোর্টেড আছে। ওদেরকে খেলার ছাড়পত্র দেয়া হয়নি।’