ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হয়নি বলে…
স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান, যিনি সংক্ষেপে ডন ব্র্যাডম্যান হিসেবে পরিচিত। ১৮৮৭ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরকালে পাড়ি জমালেও ক্রিকেটের রেকর্ডের বরপুত্র হিসেবে এখনও তিনি জায়গা করে রেখেছেন ক্রিকেট প্রেমিদের মনে।
তবে ব্র্যাডম্যানের কীর্তি যেমন সুন্দর অনুভূতি জন্মায়, তেমনি ক্রিকেট প্রেমিদের মনে খচখচে অনুভূতি জন্মায় তার গড়ের বিষয়টি। ৯৯.৯৪- অবিস্মরণীয় গড় নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা ব্র্যাডম্যান আরেকটু হলেই ১০০ গড় নিয়ে ব্যাট আর প্যাড জোড়া তুলে রাখতে পারতেন। তবে সেটি হয়নি।
আর হয়নি বলেই এক পৃথিবী আফসোসের আগুনে পুড়ছেন ব্র্যাডম্যানের সাবেক সতীর্থ ৮৯ বছর বয়সী নেইল হার্ভি।
নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেছিলেন একটিই ইনিংস। দুর্ভাগ্যবশত ঐ ইনিংসে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি, তাই গড়টাও ১০০ ছুঁতে পারেনি। ঐ ম্যাচে কোনোমতে চারটি রান করতে পারলেই শতক স্পর্শ করত ব্র্যাডম্যানের গড়।
আর ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ না হওয়ার দায়ভার নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন হার্ভি। তার দাবি, ব্র্যাডম্যানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের আগের টেস্টে জয়সূচক রান নিজে না নিয়ে ব্র্যাডম্যানকে নেওয়ার সুযোগ দিলেই অনন্য কীর্তি থেকে বঞ্চিত হতেন না ব্র্যাডম্যান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে। হার্ভি ৪ মেরে দলের জয় নিশ্চিত করলে ব্র্যাডম্যানের ব্যাট থেকে আর কোনো রান আসেনি। ১৭৩ রানের ইনিংসের ১৭৩তম রানটিই ছিল ব্র্যাডম্যানের নেওয়া শেষ রান।
হার্ভি বলেন, ‘লিডসের সেই চার আমাকে অনুশোচনায় পোড়ায়। এটা সম্পূর্ণ আমারই দোষ যে ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হয়নি। আমার বদলে যদি সে ওই বাউন্ডারিটা মারতো তাহলে নিশ্চিতভাবেই গড় ১০০ হয়ে যেত।’
তবে হার্ভি ইচ্ছে করে ঐ চার হাঁকাননি বলেই দাবি। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাট করতে নামলাম, ল্যাঙ্কাশায়ারের পেসার কেন ক্রেন্সটন আমার লেগস্টাম্পে বল করলো। আমি মিড উইকেট দিয়ে ব্যাট চালাতেই চার হয়ে গেলো। সাথে সাথে দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করে। আমার এখনও মনে আছে ডন তখন চিল্লিয়ে বলছিল, ‘তাড়াতাড়ি বের হও এখান থেকে।’