মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়েও হার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা পরাজয়ের মধ্যে রয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। প্রথম দুই রাউন্ডের দুইটি ম্যাচ হেরেই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কলাবাগান। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে।
শরীর শতভাগ ফিট ছিল না কলাবাগান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার তবুও দলের প্রয়োজনে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। মিরপুরে সকালে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিধান্ত নিয়েছিলেন মাশরাফি, প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে প্রথম হানা আনেন কলাবগান দলপতি মাশরাফি। বড় হতে যাওয়া মেহেদী মারুফ ও নুরুল হাসানের জুটি নিজেই ভাঙেন দলপতি। ব্যক্তিগত ৩৭ রান করা মারুফকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
Also Read - রেজা-সানজামুল নৈপূণ্যে দোলেশ্বরের জয়রথ অব্যাহতদলীয় ৬০ রান ও ৬৯ রানের মাথায় মাশরাফির বলে আউট হন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান ও শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান দিলশান মানুবিরা। সাব্বির রহমান ও দলপতি শুভাগতর ব্যাটিং কল্যাণে ম্যাচে ফিরে আসেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, দুই ব্যাটসম্যান মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন। “লিস্ট এ’ ক্রিকেটে নবম তম হাফসেঞ্চুরি তুলে বেশীক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি হার্ড হিটার সাব্বির রহমান, ব্যক্তিগত ৪৯ বলে ৫৩ রান করেই দেওয়ান সাব্বিরের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
সাব্বিরের আউট পর ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক শুভাগত হোম, ৫৪ বলে ৬০ রান করে শরিফুল্লার বলে উইকেট রক্ষক জসীমউদ্দিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের সময়টা দলের হয়ে একাই লড়ে যান তাইবুর রহমান, ৫ চারের সাহায্যে ৫৮ বলে ৫২ রান করে দলের বড় স্কোরে বিরাট ভূমিকা পালন করেন তিনি। কলাবগানের হয়ে চার উইকেট লাভ করেন দলপতি মাশরাফি।
২৮১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে “আনকোরা” দল কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের শুরুটা দারুনভাবে করেন দুই ওপেনার জসীমউদ্দিন ও সাদমান ইসলাম। সাদমানের ব্যাটিং তাণ্ডবে দুই ওপেনার নিলে ৭৯ রান যোগ করেন কলাবাগানের স্কোরবোর্ডে কিন্তু ৫০ রান থেকে পাঁচ রান দূরে থেকে ৪৫ রানে মনির হোসেনের বলে লেগ বিপোরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সাদমান। উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জসীমউদ্দিনও, দলীয় স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করতেই মনিরের বলে আউট হন তিনি।
তারপরের সময়টা শুধু মাসাকাদজা ও মেহরাব হোসেন জুনিয়ারের। ‘লিস্ট এ” ক্রিকেটে ৫৯তম অর্ধশতক তুলেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা, দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে তুলেন। তবে মাসাকাদজাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মেহরাব হোসেন জুনিয়ার, ব্যক্তিগত ২৭ রান করেই রায়হান উদ্দিনের বলে আউট হন তিনি।
ক্রিজে যতক্ষণ মাসাকাদজা ছিল ততক্ষণ জয়ের আশাটাও ছিল কলাবাগানের। কিন্তু ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি, রায়হান উদ্দিনের বলে থিতু হয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। বাকি সময়টা ছিল কলাবাগান ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে, শেষ দিকে কল্বাগানের হয়ে ঝড়ো ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন আব্দুর রাজ্জাক। দলীয় ২৩৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৪ উইকেট লাভ করেন রায়হান উদ্দিন এবং দুইটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন ও শুভাগত হোম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবঃ ২৮০ (৪৮.৪ ওভার)
শুভাগত ৬০, সাব্বির ৫৩; মাশরাফি ৪-৫৮
কলাবাগান ক্রীড়া চক্রঃ ২৩৩ (৪৫.৪)
মাসাকাদজা ৬১, সাদমান ৪৫; রায়হান ৪-৩৮
-মুশফিকুর রিফাত,প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটিম ডট কম