
বলটাকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করে ব্যাটসম্যান দৌড়াচ্ছেন। এমন সময় প্রতিপক্ষ দলের কেউ এমন ভান করে বসলেন যাতে ব্যাটসম্যানের মনে হল বলটা ফিল্ডারের নাগালেই রয়েছে। ক্রিকেটীয় ভাষায় একে বলা হয়ে থাকে ফেক ফিল্ডিং। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রথমবারের মত স্বাদ পেলো ফেক ফিল্ডিংয়ের।
ক্রিকেটে যত আধুনিকতা আসছে ততই সচেতনতা বাড়ছে ক্রিকেটারদের। ফেক ফিল্ডিং এখন তাই দেখা যায় না বললেই চলে। এমনকি বাংলাদেশেও এর আগে ফেক ফিল্ডিং দেখা যায়নি। তবে রবিবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফেইক ফিল্ডিং করে দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করার পাশাপাশি মিরাজ তার দলকে সঙ্গে নিয়ে গুনেছেন জরিমানা।
এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মিরাজ অবশ্য স্বস্তিতে থাকবেন না। ফেক ফিল্ডিংয়ের কারণে রংপুরের স্কোর কার্ডে আম্পায়াররা যোগ করে দিয়েছেন পাঁচটি রান। অতিরিক্ত খাতে যুক্ত হওয়া এই ৫ রান মিরাজের দল রাজশাহী শাস্তি হিসেবে ‘ভোগ’ করেছে।
রংপুরের ইনিংসের ১২তম ওভারে রাইলি রুশোর ব্যাট ছুঁয়ে বল ছুটে যেতেই দৌড় শুরু করেন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। বোলার মিরাজ বল থেক দূরে থাকতেই স্লাইডের ভঙ্গি করেন। সুইপার পজিশন থেকে ফিল্ডার বল পাঠানোর সময় রুশো ও তার সঙ্গী আরও এক রান নেওয়ার সাহস করেননি। সেটি সম্ভবত মিরাজের নকল ফিল্ডিংয়ের ভঙ্গিমার কারণেই।
আম্পায়াররা মিরাজের এই কাজকে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার উপায় হিসেবে মনে করায় রাজশাহী কিংসকে ৫ রান জরিমানা করা হয়। ম্যাচে দলটি ৫ রানে জয় পেলেও ৫ রানের পেনাল্টি আরেকটু হলে দলের পরাজয়ের কারণ হয়েই দাঁড়াতে পারতো!
ফেক ফিল্ডিংয়ে শাস্তির ব্যবস্থার প্রচলনের অবশ্য বেশিদিন হয়নি। ক্রিকেটের নিয়মকানুন প্রণয়ন করে থাকে যে এমসিসি, তাদের অনুমোদনেই ২০১৭ সালে আইসিসি ফেক ফিল্ডিংয়ে শাস্তির আইন পাস করে। এরপর এবারই প্রথম দেশের ক্রিকেটে দেখা গেল ফেক ফিল্ডিং, যথারীতি শাস্তিও।