মুম্বাইকে পরাজয়ের বৃত্তেই বন্দি রাখলেন অলরাউন্ডার স্টয়নিস

প্রকাশিত হয়েছে - 2024-05-02T00:05:46+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-05-01T00:25:55+06:00
বল হাতে মিতব্যয়ী থাকার পাশাপাশি নিয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দিয়ে খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে সোমবার ছিল মার্কাস স্টয়নিসের দিন। তার অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতেছে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিতদের হয় হতশ্রী হাল। শুরু থেকেই ক্রিজে আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা বামহাতি পেসার মহসিন খানের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মার্কাস স্টয়নিসের হাতে।
রোহিত বিদায় হওয়ার পরের ওভারেই সূর্যকুমার যাদব ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। দুই ওভারে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তিলক ভার্মা এবং ঈশান কিষাণ দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তিলক রান আউট হলে বৃথা যায় সেই চেষ্টা।
গোল্ডেন ডাক নিয়ে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায়ে বিপদ আরো ঘোরতর হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য। তিলক আউট হওয়ার পরের বলেই নাভিন উল হকের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হার্দিক। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
নেহাল ওয়াধেরাকে সাথে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন কিষাণ। কিন্তু রানের গতি ছিল লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের নিয়ন্ত্রণে। ৩৬ বলে ৩২ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে রবি বিষ্ণইয়ের শিকার হন কিষাণ।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে টিম ডেভিডের। এ ব্যাটসম্যানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে লড়াই করার পুঁজির দিকে এগিয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তার অপরাজিত ১৮ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ১ ছক্কা। এ ইনিংসের সুবাদে ১৪০ রান অতিক্রম করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ ছয় ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোর্ডে তোলে ৬৪ রান। ডেভিডকে সঙ্গ দেওয়া নেহাল আউট হন ৪৬ রান করে।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামা ওপেনার আরশিন কুলকারনিকে দারুণ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেন নুয়ান থুসারা। তবে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল আর মার্কাস স্টয়নিস শুরুর এ ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দেন।
দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে রাহুল এবং স্টয়নিস তোলেন ৫৮ রান। এ জুটিতে ম্যাচ চলে আসে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের নিয়ন্ত্রণে। ২২ বলে ২৮ রান করে রাহুল হন হার্দিকের শিকার।
এরপর দীপক হুদাকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যান স্টয়নিস। তাদের ৪০ রানের জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৮ বলে ১৮ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে সহজ ক্যাচ দেন হুদা। পরের ওভারেই বিদায় নেন স্টয়নিস। নবীর ঐ ওভারে চার-ছক্কা হাঁকানোর পর তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দেন স্টয়নিস। ৭ চার আর ২ ছক্কা মারা এ ব্যাটার ৪৫ বলে করেন ৬২ রান।
স্টয়নিসের বিদায়ের পর মন্থর হয়ে যায় লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের রানের চাকা। ১৬তম ওভারে থুসারা দেন ৬, পরের ওভারে বুমরাহ দেন মাত্র ১ রান। তারপরের ওভারেই বোল্ড হন অ্যাশটন টার্নার। তারপরের ওভারে আয়ুশ বাদানি রান আউট হলে ম্যাচে সূক্ষ্ম আশা জাগিয়ে তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
ব্যাটে বলে সংযোগ ঠিকঠাক হচ্ছিল না নিকোলাস পুরানের। ১০ বলে পুরানের রান ছিল ৬, লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ছিল ৮ বলে ৮। এমন অবস্থায় হার্দিকের অফ স্টাম্পের হালকা বাইরের বলে তুলে মারতে চেয়েছিলেন পুরান, কিন্তু তা ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প আর উইকেটরক্ষককে পাশ কাটিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে, ভাগ্যের সহায়ে ম্যাচ চলে আসে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের নিয়ন্ত্রণে। শেষ ওভারের প্রথম দুই বল খেলেই ম্যাচ শেষ করেন পুরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১৪৪/৭, ২০ ওভার
নেহাল ৪৬, ডেভিড ৩৫*, মহসিন ২/৩৬, স্টয়নিস ১/১৯
লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ১৪৫/৬, ১৯.২ ওভার
স্টয়নিস ৬২, রাহুল ২৮, হার্দিক ২/২৬, নবী ১/১৬
বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের খবর সবার আগে পেতে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন BDCricTime Videos চ্যানেলটি।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।