ম্যাচ হেরেও রমিজের প্রশংসা কুড়াল বাংলাদেশ
লাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের হারানোর জন্য পাকিস্তানকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশংসা করতেও ভুলেননি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা।
টস জিতে আগে ব্যাট নিয়ে শুরুটা যে একদমই খারাপ করেনি দুই ওপেনার তামিম ও নাঈম। তবে ধীরে ধীরে বেশি ডট খেলে ফেলেন দুই ব্যাটসম্যানই। ফলে চাপে পড়ে সেট হয়ে আউট হন দুই ব্যাটসম্যানই। চাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। লাহোরের স্লো উইকেটে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। স্কোরের দিকে তাকালে টি-টোয়েন্টিতে এটি মামুলি লক্ষ্যই।
তবে সে লক্ষ্যকে কঠিন করে জিতে পাকিস্তান। ম্যাচটি বাংলাদেশের বোলাররা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যার পুরো কৃতিত্ব কিনা বাংলাদেশের বোলারদের। মুস্তাফিজ বাদে বল হাতে ভালো করেছেন বাকি দুই পেসার আল-আমিন ও শফিউল। এমন মামুলি লক্ষ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মানসিকতাই বেশি ভালো লেগেছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার। প্রশংসার পাশাপাশি অবাকও হয়েছেন তিনি।
“অবশ্যই বাংলাদেশের প্রশংসা করতেই হয়। ছোট একটি টার্গেটকে তারা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছে। তাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হয় তবে আমাকে অবাক করেছে তাদের দলে একজন বাঁহাতি স্পিনারও ছিল না। সবমিলিয়ে বাবর আজমের জন্য এই জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হারিস রউফও দারুণ খেলেছে, এহসান আলীও। জয় তো জয়ই হয়।”
এবার বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিন দফার প্রস্তাবে রাজি হয় বাংলাদেশ। সেই সাথে লাহোরে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে হোটেল এবং মাঠ পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশ। সফলভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পর বিশ্বকে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পেরেছে বলে মনে করছেন রমিজ।
“তবে এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে শক্ত একটি বার্তা গিয়েছে যে আমরা প্রস্তুত ম্যাচ আয়োজনে জন্য। সবাই পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে ছিল এইজন্য তারা কী প্রস্তুত ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করতে? আমি মনে করি সবধরনের বার্তাই গিয়েছে বিশ্বের কাছে যে পাকিস্তান প্রস্তুত এইবার সেটি নিরাপত্তা হোক বা ক্রিকেট দিয়ে হোক।”