রেকর্ড গড়ে খুশি সাকিব, তবে…
আবারও ফাইনালে গিয়ে হেরে ফিরতে হলেও সাকিব আল হাসান ষষ্ঠ বিপিএলে হয়েছে টুর্নামেন্ট সেরা। ব্যাট ও বল হাতে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে এই খেতাব। এতে সাকিব খুশি হলেও ব্যক্তিগত প্রাপ্তি পূর্ণতা পাচ্ছে না চূড়ান্ত দলীয় সাফল্য ধরা না দেওয়ায়।
ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আরও একটি কীর্তি গড়েছেন সাকিব। যৌথভাবে বনে গেছেন বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
২০১৫ সালের আসরে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার কেভন কুপার শিকার করেছিলেন ২৩টি উইকেট। এখন পর্যন্ত একটি আসরে সেটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট শিকার। সাকিব কুপারের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ফাইনালের আগে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ছিল ২২টি। সমান সংখ্যক উইকেট ছিল তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনেরও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের একটি উইকেট তুলে নিয়ে তাদের পেছনে ফেলার পাশাপাশি সাকিব স্পর্শ করেন কুপারকে।
Also Read - হাইলাইটস না দেখে ঘোর কাটছে না তামিমের!এমন অর্জনে খুশি কি না- এই প্রশ্নের জবাবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক বলেন-
‘খুশি… হয়তো আরও একটু ভালো পারফরম্যান্স করতে পারলে ভালো লাগতো। ব্যাটিংয়ে আরও বেশি কিছু রান করা উচিত ছিল। আর বোলিংয়ে স্কিল লেভেলটাতে আরও উন্নতি করার জায়গা আছে।’
এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও নিজের উন্নতির জায়গা তো দেখছেনই। একইসাথে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বিপিএল থেকে নিচ্ছেন শিক্ষা। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইভিত্তিক ক্রিকেট তার কাছে অনেকটা ছেলেখেলার মতই। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অর্জনটা বড় মনে হতো। ফাইনাল খেলতে পারাও একটা অর্জন। এমন টুর্নামেন্ট কিংবা সিরিজে শেষ পর্যন্ত যাওয়া অবশ্যই একটা বড় অর্জন। অবশ্য এটা ভালো একটা অভিজ্ঞতা।’
তবে ফাইনালে হেরে যাওয়ায় একটু আক্ষেপও ঝরল সাকিবের কণ্ঠে। তার ভাষ্য, ‘আমরা যে ধরনের দল, পুরো টুর্নোমেন্টে সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। তারপরও আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি। আমার কাছে মনে হয়েছিল, ফাইনালের জন্য আমরা সেরাটা রেখে দিয়েছি। শুরুটাও ঐভাবেই হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শেষ করতে পারিনি।’