
করোনাকালে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসছেন ক্রিকেটাররা। সাহায্য করছেন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের। এবার করোনাভাইরাসের বাইরে অভিনব এক উদ্যোগে সামিল হয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। একযোগে ১২ হাজার চিকিৎসককে তালিম দেন তিনি।
গোটা বিশ্বের মতই করোনাভাইরাস গ্রাস করেছে ভারতকে। যার ফলে শুরুতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয় দেশটিতে। তবুও কমানো যাচ্ছে না করোনার প্রকোপ। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়সীমা ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত থাকলেও তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সরকার। নতুন ঘোষিত সময় অনুযায়ী লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
লকডাউনের ফলে গৃহবন্দি জীবনযাপন করতে হচ্ছে দেশটির ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণেরও। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক তরুণ চিকিৎসক লকডাউনের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনাচক্রের আয়োজন করছেন।
পরিচিত শল্যবিদ সুধীর ওয়ারিয়রের কাছ থেকে সেসকল চিকিৎসকদের একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব পান শচীন। যেখানে আলোচনার বিষয় ক্রীড়াবিদদের ইঞ্জুরি। এমন প্রস্তাব পেয়ে ফিরিয়ে দেননি শচীন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ১২ হাজার তরুণ চিকিৎসকদের সেমিনারে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার।
সেমিনারে শচীন ব্যাখ্যা করেন, সাধারণ মানুষের থেকে খেলোয়াড়দের চোট কতটা আলাদা এবং তার জন্য পৃথকভাবে কী ধরণের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। একই সাথে মানসিকভাবে তার কী প্রভাব পড়ে সে বিষয়েও অবগত করেন শচীন।
প্রসঙ্গত, শচীনের ক্লাসে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় বারো হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। আইপিএলের দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ভারতীয় দলের সাথে ফিজিও হিসেবে যুক্ত থাকা নীতিন প্যাটেলের সঙ্গে পুরো ক্লাস পরিচালনা করেন চিকিৎসক সুধীর ওয়ারিয়র।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।