সাহায্যের প্রয়োজন নেই, দোয়া করলেই হবে : মোশাররফ রুবেল
একসময় খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ছিলেন শীর্ষস্থানীয় মুখ। ২০১৯ সালে ব্রেইন (মস্তিষ্কে) টিউমার ধরা পড়লে মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন মোশাররফ রুবেল। চিকিৎসা নিয়ে প্রায় সেরে উঠলেও নতুন করে টিউমার ধরা পড়েছে রুবেলের মস্তিষ্কে।
মস্তিষ্কের মত স্পর্শকাতর স্থানে নতুন করে টিউমার ধরা পড়ায় শঙ্কায় রুবেলের জীবন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার যেন বুঝতে পারছেন না কীভাবে কী করবেন। কণ্ঠস্বরেই স্পষ্ট শরীরের ধকল। কথা বলেন ধীরগতিতে, থেমে থেমে। মাঝেমাঝে কথা জড়িয়ে যায়, অস্পষ্ট লাগে একসময়ের স্বল্পভাষী ও হাস্যজ্বল এই ক্রিকেটারের ভাষা। মুখে স্পষ্ট করে না বললেও রুবেলের অসহায়ত্ব গোপন থাকার মত নয়।
Also Read - সাকিবের যে রেকর্ড নেই বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারেরব্রেইন টিউমার ধরা পড়ার আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মত বড় মঞ্চে খেলেছেন। এরপর চিকিৎসার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে করতে সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড়। একসময় নিজের ফ্ল্যাটও বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে ক্রীড়াঙ্গন থেকে সহায়তা পেয়েছেন, তা দিয়েই এতদিন চলছিল চিকিৎসা। নতুন করে টিউমার শরীরে বাসা বাঁধায় রুবেল জানেন না, আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে তার জন্য, সমাধানই বা কী।
বিডিক্রিকটাইমকে তিনি বলেন, ‘ফলোআপ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে আবার হয়েছে। কেমোথেরাপি দিয়েছে, ঔষধ খেলাম। কাজ করেনি। পরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ডাবল কেমোথেরাপি দিয়েছে আরকি। পনেরো দিন পরপর কেমোথেরাপির দুইটা সার্কেল দিতে হবে। এমআরআই করতে হবে, সেটার রিপোর্ট পাঠাতে হবে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে (যেখানে আগের টিউমার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল)।’
গত বছর করোনায় আক্রান্ত হন মোশাররফ রুবেল। এই মহামারি কেড়ে নিয়েছে তার বাবাকেও। এত ঝড়ঝাপটা সামলে রুবেল এখন জানেন না, কী তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। আর্থিক সহায়তার বদলে সবার কাছে তাই শুধু দোয়া চেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা… কী বলব। এত শরীর খারাপ। টাকাপয়সা নিয়ে এখন আর দাবি না। এমআরআই করি, তারপর দেখা যাক। সেকেন্ডারি টিউমার ধরা পড়েছে। আল্লাহ জানেন ভবিষ্যতে কী আছে কপালে। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম (এরপর কী হবে)। বললেন থার্ড গ্রেডে যাবে। এখন কেমোথেরাপি দিয়ে আবার সার্জারি… বুঝতে পারছি না।’
‘সাহায্যের হাত প্রয়োজন নেই, দোয়া করলেই হবে। কেমোথেরাপির জন্য ডেল্টা হাসপাতালে যাই। ওদের কেমোথেরাপি অনেক ব্যয়বহুল। ফাইজারের একটা কেমো আর রোশের একটা কেমো। ওরা ইনপুট করে আরকি। দুই ধরনের কেমো দিয়েছে।’– বলেন রুবেল।