সিরিজ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪০ রান
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ আন-অফিসিয়াল একদিনের ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল।

সিরিজ নির্ধারণী কার্টেল ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৩৯ রান যোগ করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তাছাড়া আশান প্রিয়াঞ্জন ৫২ ও থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান ৪৪ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের পর শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। দলের অন্যতম ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা’কে ব্যক্তিগত ১ রানেই ইনিংসের শুরুতে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। তাকে নাঈমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে লঙ্কান ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম।
Also Read - লঙ্কানদের বিপক্ষে দূর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিকরাশুরুর ধাক্কা সামলে বেশ দাপটের সাথে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে থাকেন সামারাবিক্রমা ও প্রিয়াঞ্জন। দুজনে মিলে দ্রুততার সাথে গড়েন ১৩০ রানের জুটি। শতরানের জুটির পথে উভয়েই পূর্ণ করেন অর্ধশতকের মাইলফলক। তবে অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হলে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা।
১৪ বলের ব্যবধানে চার উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের দূর্দান্তভাবে খেলায় ফিরিয়ে আনেন পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দুজনের বোলিং তোপে ১৩৪/১ থেকে লঙ্কানদের স্কোরবোর্ড পরিণত ১৩৬/৫ এ। সেখান থেকে আবারও দলের হাল ধরেন অধিনায়ক পেরেরা।
শেষ পর্যন্ত পেরেরার ৪৪ বলের ৪৪ ও শেনান মাদুশাঙ্কার ২৫ বলের কার্যকরী ২৯ রানে চড়ে নির্ধারিত ৪৫ ওভার শেষে ২৩৯ রানের পুঁজি পায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২৪ রান খরচায় সর্বাধিক ৪টি উইকেট লাভ করেন সানজামুল ইসলাম। তার পাশাপাশি খালেদ আহমেদ দুটি, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড-
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল: ৪৫ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২৩৯
সামারাবিক্রমা ৭৫ (৮৩), থারাঙ্গা ১(২), প্রিয়াঞ্জন ৫৩(৬২), জয়াসুরিয়া ১(২), শানাকা ১(৩), শাম্মু ১৫(৩২), পেরেরা ৪৪(৪৪), মাদুশাঙ্কা ২৯(২৫), উদানা ২(৫), পুষ্পকুমারা ৯(১১)*, পেইরিস ১(১)*; খালেদ ৮-১-৪২-২, সানজামুল ৭-১-২৪-৪, নাঈম হাসান ৭-০-২৮-১।
আরও পড়ুনঃ টেস্টে আলাদা দল চান না আকরাম