সোহরাওয়ার্দীর শতকে ভিক্টোরিয়ার সহজ জয়
সাত সকালে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিধান্ত নিয়ে ভুল করেননি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী। কারণটা জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মেহেদী মারুফের অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৪ রান করতে সক্ষম হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভর সেঞ্চুরিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব।

প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা দারুণভাবে করেছেন দলের দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও শাহনাজ আহমেদ। দুই ব্যাটসম্যানেই ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বোলারদের উপর চউড়া হয়ে দলকে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। দলীয় ৮১ রানের মাথায় এনামুল হকের বলে জুবায়ের আহমেদের হাতে তালুবন্ধি হন ওপেনার শাহনাজ। ৬৫ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী মারুফ কিন্তু ক্রিজে থিতু হয়েও রান আউটের শিকার হন তিনি। আউট হওয়ার আগে নিজের ব্যক্তিগত খাতায় ৬৩ রান যোগ করেন মেহেদী।
ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ সাব্বির রহমান, মাত্র ১৩ রান করেই এনামুল হকের বলে এল্বির ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে ব্যাট হাতে বেশ সচল ছিলেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান। তাইবুর রহামানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন নুরুল হাসান। ১০ রানের জন্য অর্ধশতক ছুঁতে না পারলেও দলের প্রয়োজনে মূল্যবান ৪৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। তাইবুর রহামানকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক শুভাগত হোম, ব্যক্তিগত ২১ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
Also Read - তিন অর্ধশতকে রূপগঞ্জের জয়শুভাগতর পরেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন তাইবুর। শেষ দিকে দলকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করে সচীন রানার উজ্জ্বলময় ব্যাটিং। শেষ দিকে নেমে ২৩ বলে ঝড়ো ৩৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলের বড় স্কোরে ভিরাট ভূমিকা পালন করেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও কাম্রুল ইসলাম রাব্বি।
২৭৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের খানিক পরেই বেগ হারিয়ে ফেলেন ভিক্টোরিয়ার ওপেনার আব্দুল মজিদ। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় মজিদের বিদায়ের পর পরই সাজঘরে ফিরে যান লিটেল মাস্টার মমিনুল হক। তবে দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন আলামিন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দুইজনের মিলেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে নিয়ে যেতে থাকেন। খেলার মাঝপথে বৃষ্টি হানা দেওয়াতে ডি/এল মেথড পদ্ধতিতে দলের টার্গেট দাড়ায় ২১১ রান।
অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে বেশ প্রান চঞ্চল ছিলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। নিজের “লিস্ট এ” ক্রিকেট ক্যারিয়ারে দীর্ঘ বছর উপেক্ষিত থেকে অবেশেষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। তবে অন্যবারের মতন এইবারের ব্যাটিং পজিশনটা একটু আলাদা বটেই, সোহরাওয়ার্দী শুভ হার হামেশাই ব্যাটিংয়ে আসেন ৭ কিংবা ৮ নাম্বারে কিন্তু বুধবার দৃশ্য ছিল অন্যরকম। তবে রানের মধ্যেই আছেন আলামিন। ইনিংস শেষে ৯০ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবঃ ২৭৪-৭ (ওভার ৫০)
মেহেদী মারুফ ৬৩, তাইবুর রহমান ৪৫; এনামুল হক ২-৩১
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবঃ ২১১-২ (৪২.১)
সোহরাওয়ার্দী শুভ ১০৫*, আলামিন ৮০*; শুভাগত ১-৩৩
ফলাফলঃ ৯ রানে জয়ী ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব (ডি/এল মেথড)
ম্যাচ সেরাঃ সোহরাওয়ার্দী শুভ (ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব)