
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের লক্ষ-কোটি ভক্তদের বিরাট এক আফসোস শীঘ্রই মিটে যেতে যাচ্ছে। আগামী মাসেই প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিও সিরিজ খেলতে ভারত সফর করবে টাইগাররা।
এই ম্যাচ দিয়েই সকল টেস্ট খেলুড়ে দেশে টেস্ট খেলার এক গুরুত্বপূর্ণ চক্র পূরণ হবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার এই ঐতিহাসিক টেস্ট।
ভারতের এই স্টেডিয়ামে সর্বমোট মাত্র তিনটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার প্রথমটা ২০১০ সালে এই মাঠে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ দিয়ে হয়েছিল।
তারপর ২০১২ সালে আবারো নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করে ভারত। এছাড়া তৃতীয় ও সর্বশেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও অধিনায়ক ধোনির ভারত।
এই তিন ম্যাচের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে এটা বলাই যায় যে হায়দরাবাদের পিচ পুরোপুরি স্পিন উপযোগী। এমনকি সকল ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা।
বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে বোলারদের উইকেট সংখ্যা নজর দিলে। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৮টি।
এই ক্যারম বোলারের ধারে কাছে নেই কেউ। ৯টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেরা আরেক ভারতীয় স্পিনার প্রজ্ঞান ওজা।
এরপর রয়েছেন আরও তিন স্পিন বোলার– যথাক্রমে হরভজন সিং (৭), রবীন্দ্র জাদেজা (৬), ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (৫)। তাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ গড়ে দিতে পারে ঘূর্ণি জাদুগররাই।
- সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ: ৫০৩ (ভারত)।
- সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ: ৫০৩ (ভারত)।
- সর্বাধিক রান: চেতেশ্বর পূজারা ৩৬৩ (ভারত)।
- সর্বাধিক উইকেট: রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৯ উইকেট (ভারত)।
- সেরা জুটি: মুরালি বিজয় এবং চেতেশ্বর পূজারা ৩৭০ রান।
- এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ: ব্রেন্ডন ম্যককুলাম ২২৫ (নিউজিল্যান্ড)।
- সেরা বোলিং ফিগার: রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩১ রানে ৬ উইকেট (ভারত)।
বিষয়টা তাই পরিষ্কার যে এই মাঠে পেসারদের সাফল্যর সম্ভাবনা খুবই সামান্য। বরং এটা বলা যেতে পারে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম হচ্ছে স্পিনারদের তীর্থ। তাই সিরিজের একমাত্র এই ম্যাচে সবারই নজর থাকবে দুই দলের স্পিনে।
বাংলাদেশ দলের স্পিন বিভাগের নেতৃত্ব থাকবে সাকিব আল হাসানেরই কাঁধে। এছাড়া অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতে রয়েছে আরও বেশ কিছু স্পিনার। তরুন তুর্কি মেহেদী মিরাজ যাদের মধ্যে অন্যতম, এছাড়া আরও রয়েছেন বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে দাপট দেখাতে পারেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজও। মূলত পেসার হলেও বিষাক্ত কাটার দিয়ে ঘায়েল করে নিতে পারেন এই বাঁহাতি বোলার। তাছাড়া আইপিএলের কারনে ভরপুর অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশের হয়ে মাঠে নামবেন সাতক্ষীরার এই তরুন।
যদিও এখনো বলা যাচ্ছেনা কেমন হতে যাচ্ছে এই টেস্টের বাংলাদেশ দল। তবে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকবে দলে। বিশেষ করে একাধিক স্পিনারের উপস্থিতি থাকতে যাচ্ছে দলে।
- মাকসুদুল হক, প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটাইম ডট কম।