
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের খেলায় আবাহনী লিমিটেডের কাছে পাত্তাই পায়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে মোহামেডান হেরেছে ৬০ রানের ব্যবধানে।
প্রথম পর্বে আবাহনীকে হারের স্বাদ দিয়েছিল মোহামেডান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল না প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাপ। মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯২ রানের পাহাড় জড়ো করে আবাহনী, যা চলতি আসরের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
মাত্র ৩২ বলের মোকাবেলায় ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই ম্যাচেও যথারীতি মারকুটে ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। ২৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন মুনিম।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ বলে ২৭, নাঈম শেখ ১৮ বলে ২৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৭ বলে ১৪ রান করেন। আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস ৪ রানে আউট হন। মোহামেডানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন রুয়েল মিয়া ও আসিফ হাসান। রুয়েল আঁটসাঁট বোলিং করলেও খরুচে ছিলেন আসিফ।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান জড়ো করার আগেই দুই উইকেট হারায় মোহামেডান। এরপর ইরফান শুক্কুরের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে আশার আলো দেখালেও ১৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করে তিনি বিদায় নেওয়ার সাথে সাথে দল খেই হারিয়ে ফেলে।
শেষপর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ানোর মত কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। আবু হায়দার রনির ৪২ বলে অপরাজিত ৪৯ ও মাহমুদুল হাসানের ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস দুটি পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৩ রান।
আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
আবাহনী লিমিটেড : ১৯২/৭ (২০ ওভার)
মুশফিক ৫৮* মুনিম ৪৩, শান্ত ২৭
রুয়েল ১৯/৩, আসিফ ৪৭/৩
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব : ১৩৩/৭ (২০ ওভার)
রনি ৪৯*, মাহমুদুল ৩৭, শুক্কুর ২৭
মোসাদ্দেক ১৪/২, সাইফউদ্দিন ৩৪/২ সানি ৩০/১
ফল : আবাহনী লিমিটেড ৬০ রানে জয়ী।