“এমন আনন্দে বাড়িতে কখনও ফেরা হয়নি”
এই মাসের শুরুতেই তার একটি ইনিংস অল্পের জন্য দুইশ ছুঁতে পারেনি। ফজলে রাব্বির এ নিয়ে আক্ষেপ থাকতেই পারে। তবে এনসিএলে ১৯৫ রানের ঐ ইনিংসই তাকে জাতীয় দলে জায়গা পেতে সাহায্য করেছে।
৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার ফজলে রাব্বি মাহমুদ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে। ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেকের পর ৬৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। সেই বিবেচনায় এই ব্যাটসম্যানকে অভিজ্ঞই বলা চলে। তার সেই অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করতেই এবার দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের। যার কারণে ফজলে রাব্বির আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নেই কোনো কমতি।
এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে বাড়িতে ফেরার সময় দেশের শীর্ষ জাতীয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘যেন ঈদে মায়ের কোলে ফিরছি! এমন আনন্দে বাড়িতে আর কখনো ফেরা হয়নি। ফেরার পথে বিরাট সুখবর পেলাম। অনেক ভালো লাগছে, আমার জন্য দোয়া করবেন।’
Also Read - এটা কোন জয় বলে মনে হচ্ছে না : পেইনফজলে রাব্বি মূলত জায়গা পেয়েছেন মারাত্মক চোট আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের জায়গায়। তবে সাকিবের বিকল্প হয়ে ওঠা যে কখনও সম্ভব নয়, এটি জানেন তিনিও, ‘সাকিব ভাইয়ের বিকল্প পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি শুধু দেশের নয়, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। চেষ্টা করতে পারি দলে যেন নিজের একটা জায়গা করে নিতে।’
১৪ বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলছেন, একবারও জাতীয় দলে ডাক পাননি। ফজলে রাব্বি কি কখনই ধৈর্য হারাননি? তার জবাব, ‘সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছি, একটা সময় তো আশাই হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে গত তিন-চার বছর ধারাবাহিক ভালো খেলায় মনে মনে একটা আশা তৈরি হয়েছে।’
শুধু ব্যাটিংই নয়, ফজলে রাব্বির বাঁহাতি স্পিনটাও দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করেছেন নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক তাকে দলে রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন এভাবেই- ‘দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড সফরে ‘এ’ দলের হয়ে সে ভালো করেছে। গত কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো করছে। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ব্যাটসম্যান। সঙ্গে ওর বাঁহাতি স্পিনটাও পাব।’
আরও পড়ুন: ‘সহ-অধিনায়কই অধিনায়ক হয়, এটাই নিয়ম’