চোখের জলে কষ্ট ধুলেন শামীম
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমেও শুরুতে বিপর্যয়। সেই বিপর্যয় সামলালেন সুনিপুণ দক্ষতায়, ভারতীয় বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে ৫৯ রানের ঝলমলে একটি ইনিংস খেলে। দলকে জয়ের মইয়ে ওঠার পথ বাতলে দিয়েছিলেন। যদিও শেষমেশ সেটি সম্ভব না হয়ে কপালে জুটেছে ২ রানের পরাজয়।

কদিন আগেই মূল দল এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরেছে ভারতের কাছে। এবার আবারও এশিয়া কাপ, আবারও প্রতিপক্ষ ভারত, আবারও নকআউট… বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ভারতের কাছে হারল সেমিফাইনালে এসে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা শামীম্ন হোসেন কষ্ট লুকোনোর উপায় খুঁজছিলেন যেন। সাংবাদিকদের মাইক্রোফোনের সামনে দলের সর্বোচ্চ স্কোরারের অসহায় আত্মসমর্পণ- ‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বুঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার।’
দারুণ ইনিংস খেলা শামীম চেয়েছিলেন জয় ছিনিয়ে তবেই মাঠ ছাড়তে। যদিও সেটি পেরে ওঠেননি। নিজের সেরা চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল আমি ম্যাচটা শেষ করে আসব। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
ব্যাটসম্যানরা ভালো করেও জিততে না পারার পেছনে কিছু ঘাটতির দায় দেখছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। শামীম বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভালোই করেছে, কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেনি। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল।’
Also Read - মাশরাফি সবচেয়ে বড় সম্পদ : প্রধানমন্ত্রীপরাজয়ের গ্লানি এড়ানো এত সহজে সম্ভব নয়, তাও এমন পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচের। তবুও ভুল থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগানোর তাগিদ তার, ‘এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি নতুন। সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্টগুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুলগুলো যেন পুনরায় না হয়। অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে, আসলে হাটতে হাটতে মানুষ জয়ের পথে যায়, এটাই।’
শামীম আরও বলেন, ‘ড্রেসিং রুমে কথা হয়েছিল স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার। স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই আমরা ম্যাচ জিততে পারতাম। শেষদিকে অহেতুক কিছু ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছি।’
বয়স এখনও উনিশই হয়নি। এর মধ্যে সামলাতে হচ্ছে কত চাপ! দেশকে জেতাতে না পারার দুঃখেই হয়ত, কথা বলার মাঝখানে কেঁদে ফেললেন শামীম। ক্ষুদে ক্রিকেটার সেই চোখের জলে কষ্ট ধুয়ে হালকা করলেন হয়ত, কিন্তু এই স্মৃতি তো অনেকদিন তাড়াবে আসরের স্বাগতিকদের!
আরও পড়ুন: ৮ রানের আক্ষেপ ঘুচালেন নাঈম, ৫ রানের আক্ষেপে রাব্বি