টাকার অভাবে ডিআরএস ব্যবহার করতে পারছে না বিসিসিআই
মাত্র কিছু দিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সম্প্রচার স্বত্ব প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বিসিসিআই। অথচ সেই বিসিসিআই-ই কিনা আছে অর্থের অভাবে! অবাক করা এই খবর সামনে এল রঞ্জি ট্রফির কারণে।
Siam Chowdhuryক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে -
আপডেট হয়েছে -
খেলার সারসংক্ষেপ
মাত্র কিছু দিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সম্প্রচার স্বত্ব প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বিসিসিআই। আগামী ৫ বছরে নাকি আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ডের মুনাফা দাঁড়াবে ১ লাখ কোটি টাকা। বিপুল অর্থ যে শুধু ভবিষ্যতে আসবে এমন নয়, বিগত দিনেও আইপিএল কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়েছে বিসিসিআইকে। সেই সাথে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুই হাত ভরে দেয় সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ডকে।
অথচ সেই বিসিসিআই-ই কিনা আছে অর্থের অভাবে! অবাক করা এই খবর সামনে এল রঞ্জি ট্রফির কারণে। ভারতের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রথম শ্রেণির এই টুর্নামেন্টটির ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও এই ম্যাচে নেই ডিআরএসের ব্যবহার। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
বিসিসিআই কারণ ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ডিআরএস পরিচালনার মত অর্থ তাদের নেই! এই টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আম্পায়ারদের কোনো না কোনো ভুল দেখা গেছে। এমনকি ফাইনাল ম্যাচের প্রথম দিনেও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এত টাকা আয় করা সত্ত্বেও রঞ্জির ফাইনালে কিংবা সাধারণ ম্যাচগুলোতেও কেন ডিআরএস নেই।
এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ভাবলেশহীনভাবে জানিয়েছেন, আম্পায়ারদের শুদ্ধতার ব্যাপারে তাদের অগাধ আস্থা রয়েছে। আর ডিআরএস ব্যবহার করা হয়ে উঠবে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ!
তিনি বলেন, 'দেশের আম্পায়ারদের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। ডিআরএস ব্যবহার করতে গেলে অনেক খরচ। ফাইনালে ডিআরএস না থাকলে কী আসে যায়? মাঠের আম্পায়ারদের ওপর ভরসা করতে হবে।'
রঞ্জির ফাইনালে অন ফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় আছেন কে এন অনন্তপদ্মনাভন ও বীরেন্দ্র শর্মা। তাদের ওপর আস্থা দেখিয়ে ঐ কর্তা বলেন, 'ভারতের দুই সেরা আম্পায়ার রঞ্জির ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্বে রয়েছেন। ফাইনালে যদি ডিআরএস চালু করতে হয় তা হলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও চালু করা উচিত।'
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে লড়ছে মুম্বাই ও মধ্যপ্রদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ৩৭৪ রানে। দলের পক্ষে ১৩৪ রান করেন সরফরাজ খান। অথচ ইনিংসেই শুরুর দিকেই তিনি সাজঘরে ফিরতে পারতেন। গৌরব যাদবের বলে মধ্যপ্রদেশ এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করলেও আম্পায়াররা সেই দাবি নাকচ করে দেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। এছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুমে সেমিফাইনালে ডিআরএস ব্যবহার করা হয়েছিল হোক আই ও আল্টা এজ ছাড়াই। ফলে ঐ ম্যাচের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রবল চাপের মুখে পড়ে যায় বিসিসিআই।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।