
বড় ইনিংস খেললে তিনি শতক হাঁকান, নাহলে অর্ধশতকে পোষায় না! রসিকতা করে ফাওয়াদ আলমের ক্ষেত্রে এমন কথা বলাই যায়। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান হাঁকাতে হাঁকাতে চারটি টেস্ট শতক হাঁকিয়ে বসেছেন, যেখানে নেই কোনো অর্ধশতক!

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শতক হাঁকিয়ে একটা রেকর্ডও গড়ে ফেললেন ফাওয়াদ। এশিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার প্রথম চার অর্ধশতকই তিন অঙ্কে রূপ নিয়েছে, স্বভাবতই পরিসংখ্যান বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে শতক হিসেবে।
৭৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করা পাকিস্তান দিন শেষে লিড নিয়েছে ১৯৮ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান জড়ো করা সফরকারীরা হাঁটছে বিশাল লিডের পথে। ‘বড় লিড’ না বলে ‘বিশাল লিড’ বলা যাচ্ছে, কারণ শতক হাঁকিয়ে ফাওয়াদ এখনও অপরাজিত। তার ব্যাটে ভর করে পাকিস্তান দেখছে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন।
১৫৫ বলে ১০৮ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ফাওয়াদ হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার। প্রথম দিনেই অর্ধশতক তুলে নেওয়া আবিদ আলী দিনের শুরুতেই থামেন ব্যক্তিগত ৬০ রানে। ইমরান বাট শতকের খুব কাছে পৌঁছে উইকেট হারান ৯১ রানে। এছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।
তবে সতীর্থদের মাঝখানে বেমানান অধিনায়ক বাবর আজম ও ফাহিম আশরাফের দুই ইনিংস। দুইজনই সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রানে, এর মধ্যে বাবর তো ‘গোল্ডেন ডাক’। ক্যারিয়ারের প্রথম গোল্ডেন ডাকের দিনে বাবর ধরা পড়েছেন জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত পরিকল্পনায়। ১৮ বলে ২১ রান করে মারমুখী আচরণ প্রকাশ করা হাসান আলী ফাওয়াদের সাথে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন ডোনাল্ড টিরিপানো। এর আগে প্রথম দিন দুই সেশনেই মাত্র ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে)
টস : জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ১৭৬/১০ (৫৯.১ ওভার)
কাইয়া ৪৮, টিরিপানো ২৮*
শাহীন ৪৩/৪, হাসান ৫৩/৪
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৩৭৪/৬ (১২০ ওভার)
ফাওয়াদ ১০৮*, ইমরান ৯১, আবিদ ৬০
টিরিপানো ৮৯/৩, মুজারাবানি ৪২/১
পাকিস্তানের লিড ১৯৮ রান।