বৃথা শামীমের অর্ধশতক, রনি-অঙ্কনের ব্যাটে মোহামেডানের দাপুটে জয়
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে সাত উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

তাহসিনা জামানক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2024-03-25T15:39:27+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-03-25T15:39:27+06:00
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে উইকেটের জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আগে ব্যাট করে শামীম পাটোয়ারির অর্ধশতকে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ। রনি তালুকদার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের অর্ধশতকে সহজ জয় পায় মোহামেডান। ৯২ রানের অপরাজেয় ইনিংস খেলেন রনি।
রনি তালুকদার
নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শুরুতেই মোহামেডানকে সাফল্য এনে দেন নাসুম আহমেদ ও আবু হায়দার রনি। ফারদিন হোসেন অনিকে ৮ রানে বিদায় করে দেন আবু হায়দার রনি। তোফিক খান তুষার ও ইমরানউজ্জামানকে শিকার করেন নাসুম। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ।
তারপর ছোট ছোট জুটিতে এগোতে থাকে দলটি। চতুর্থ উইকেটে ৩৭ রান, পঞ্চম উইকেটে ৩১ রান, ষষ্ঠ উইকেটে ৩৮ রানের জুটি পায় রূপগঞ্জ। চৌধুরী রিজওয়ান ২৫ রান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ২৬ রান ও শুভাগত হোম চৌধুরী ১৬ রান করেন।
সপ্তম উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। জুটি গড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাদের জুটিতে আসে ৪১ রান। মাশরাফি বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। মোহাম্মদ আসিফ হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মাশরাফি করেন ৩১ বলে ২১ রান। তার ব্যাট থেকে আসে একটি ছক্কা।
অপরপ্রান্তে অর্ধশতক হাঁকান শামীম। তবে মাশরাফির বিদায়ের পর তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই আরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ আউট হন শামীম। এই বাঁহাতি ব্যাটের উইলো থেকে আসে ৫৯ রান। শামীম মোকাবেলা করেন ৮০টি বল। চারটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা কোনো পারেনি। শহিদুল ইসলাম ২ রান, আব্দুল হালিম ১ রান ও আল-আমিন হোসেন রানের খাতা খুলতেই পারেননি।
ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই ৪৭.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ। মোহামেডানের পক্ষে নাসুম ও আসিফ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। কামরুল ইসলাম দুইটি এবং আরিফুল ও আবু হায়দার একটি করে উইকেট নেন।
স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডানের সূচনাও ভালো হয়েছিল না। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৯ বলে ১ রান করে বিদায় নেন আল-আমিন হোসেনের বলে। পরের ওভারেই প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে আউট করেন শুভাগত। ৭ রানে ২ উইকেট হারায় মোহামেডান।
তবে আর বিপদ ঘটতে দেননি রনি তালুকদার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১৩০ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙেন আব্দুল হালিম। অঙ্কনকে শিকার করেন তিনি। ক্যাচ আউট হওয়ার আগে অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। ৭৮ বলের ইনিংসে তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান অঙ্কন।
তারপর আরিফুল ইসলাম দ্রুতই বিদায় নেন। ১১ বলে ৬ রান করে তিনিও হালিমের শিকার হন। তারপর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রনি তালুকদারকে সেঞ্চুরি করার সুযোগ দিতে অনেক সহায়তা করেন রিয়াদ। তবে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দেখা পাননি রনি। রিয়াদ অপরাজেয় থাকেন ৩২ বলে ৯ রানে।
রনি তালুকদার করেন অপরাজেয় ৯২ রান। ১১৪ বলের ইনিংসে রনি হাঁকান সাতটি চার ও চারটি ছক্কা। ৪১.৪ ওভারে ছয় উইকেটের দাপুটে জয় পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের খবর সবার আগে পেতে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন BDCricTime Videos চ্যানেলটি।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।