বোলারদের নৈপুণ্যে গাজী গ্রুপের সহজ জয়

প্রকাশিত হয়েছে - 2024-03-15T16:15:54+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-03-15T16:46:51+06:00
শুরুতে রুয়েল মিয়ার মিডিয়াম পেস আর এরপর মাহফুজুর রহমান রাব্বির স্পিন- কোনোটিরই জবাব ছিল না পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যাটসম্যানদের। বোলারদের নৈপুণ্যে সহজেই তাদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
পারটেক্সের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছে একদম ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার। ইনিংসের প্রথম বলে বোলার রুয়েল মিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এক বল পরেই উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিজানুর রহমান।
প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত এনে ম্যাচের শুরুতেই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে চালকের আসনে নিয়ে যায় রুয়েল। সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি পারটেক্সের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। পাওয়ারপ্লের ভেতরেই ফেরত যান মাইশুকুর রহমান। দলীয় ২৪ রানের মাথায় শেখ পারভেজ জীবনের বোল্ড হন মাইশুকুর।
প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আজমীর আহমেদ। ৪২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে আজমীরের ব্যাট থেকে। ১ চার ও ৩ ছক্কা মারা আজমীরকে ফেরান জয়নুল আহমেদ। এরপর ৪০ বলে ১৪ রান করে জাহিদুজ্জামান বামহাতি স্পিনার মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ স্পিনারের ঘূর্ণি সামাল দিতে পারেনি পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা।
জাহিদুজ্জামানের পর রাব্বির শিকার হন তানবির হায়দার। ১৩ বলে ১০ রান করে বোল্ড হন তানবির। পরের ওভারে মুক্তার আলীকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জয়নুল ইসলাম। ঐ ওভারেরই শেষ বলে তোফায়েল আহমেদকে সাজঘরে পাঠান জয়নুল। মাত্র ৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পারটেক্সের ছিল দুই অঙ্কে অলআউট হওয়ার শঙ্কা।
দলীয় শতরান না করতে পারার বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেন লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান রাজিবুল ইসলাম ও মোহর শেখ। নবম উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়েন রাজিবুল ও মোহর। তাদের জুটির স্থায়ীত্ব ছিল ৯৩ বল। ৫৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে রাজিবুল এলবিডব্লিউ হন রাব্বির বলে।তার এক বল পরেই রাকিবুল আতিকও এলবিডব্লিউ হলে শেষ হয় পারটেক্সের ইনিংস। মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ৪ চার ও ১ ছক্কা হাঁকানো মারা মোহর।
১৩১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আভাস দেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি হাবিবুর। তৃতীয় ওভারে দলীয় ২৪ রানের মাথায় আউট হন হাবিবুর। ২ চার মারা এ ওপেনার ৯ বলে করেন ১৩ রান।
সমান ১৩ রান করে আউট হন পিনাক ঘোষ। ২১ বলে ১৩ করে তোফায়েলের শিকার হন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি আনিসুল হকও। ৮ রান করে তোফায়েলের দ্বিতীয় উইকেট হন আনিসুল। এরপর মেহেদী মারুফের সাথে ৩৮ রানের জুটি করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান আল-আমিন জুনিয়র।
এক প্রান্ত আগলে রেখে সময় নিয়ে খেলতে থাকেন মেহেদী মারুফ। ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন তিনি। প্রিতম কুমারের বিদায়ের পর মইন খানকে নিয়ে দলকে লক্ষ্যে নিয়ে যান মারুফ। ৯৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এ ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১৩০/১০, ৩৮.৫ ওভার
আজমীর ৩২, রাজিবুল ৩২, মোহর ৩০
রাব্বি ৪/২৫, জয়নুল ৩/৪৩, রুয়েল ২/১৪
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৩৩/৫, ৩২.১ ওভার
মারুফ ৫৯*, আল-আমিন ১৬, প্রিতম ১৫
রাজিবুল ১/২৫, রাকিবুল ১/৩৩
বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের খবর সবার আগে পেতে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন BDCricTime Videos চ্যানেলটি। বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।