
উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম একদিনের ম্যাচে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে লড়ছে বাংলাদেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ ওভারে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেট ২০৩। ক্রিজে আছেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
গায়ানায় সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজা। তবে শুরুতেই আঘাত হানে উইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ৩ বলে শূন্য রান করে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বলে নার্সের হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। সর্বশেষ শ্রীলংকা,জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের বাজে ফর্ম থেকে বের হতে পারেন নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। আরেক ওপেনার তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে খেলে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে থাকেন। তবে ৪.৪ ওভারে বৃষ্টি বাঁধায় খেলায় কিছুটা বিলম্ব হয়। এরপর খেলা শুরু হলে স্লো উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে রানের গতি কিছুটা বাড়াতে থাকেন সাকিব-তামিম। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে বাংলাদেশ রান তোলে ৩১। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’র ৫ ওভারে আসে ২০ রান। ১৫ ওভারে ৫১ রান করা বাংলাদেশ পরবর্তি ১০ ওভারে তোলে ৪৭। ২৫.৩ ওভারে জেসন মোহাম্মদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করেন সাকিব আল হাসান। এর পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে ১০০ রানের জুটি পূর্ণ করেন তামিম।
একই ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের অর্ধশত সম্পন্ন করেন তামিম ইকবাল খান। একদিনের ক্যারিয়ারে তামিমের এটি ৪২ তম অর্ধশত। এদিকে ২৭তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন সাকিব আল হাসান। একদিনের ক্যারিয়ারে এটি সাকিবের ছিল ৩৮তম অর্ধশতক।
অর্ধশতকের পরেও সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে তোলেন তামিম-সাকিব। এর আগে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন দ্বিতীয় উইকেটে করেছিলেন ১৬০ রান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাকিব ৯৬ রানে ও তামিম ৯৩ রানে ব্যাট করছেন। জুটি ২০২ রানের। একদিনের ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দুইশত রানের জুটি অন্যদিকে উইন্ডিজের বিপক্ষে যে কোনও উইকেট সর্বোচ্চ রানের জুটি।
[আরও পড়ুনঃ নিজভূমে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে]