
২০১৩ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক, সেই সিরিজেই খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগারকে যেন রীতিমতো ভুলেই বসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে অ্যাগারকে আবারও স্মরণ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্যানেল।
উপমহাদেশে অজিদের দুর্বলতার বিচারে অস্ট্রেলিয়ার অন্য ক্রিকেটারদের জন্য আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ কঠিন এক পরীক্ষা হলেও অ্যাগার কিছুটা নিশ্চিন্ত। কারণ, দলের স্বভাববিরুদ্ধ শ্রেণির একজন ক্রিকেটার যে তিনি! বাঁহাতি এই অফ-স্পিনারকে দিয়েই ঢাকা ও চট্টগ্রাম টেস্টে টাইগার বধের পরিকল্পনা আঁটছে সফরকারীরা।
মঙ্গলবার অনুশীলনে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অ্যাগার। এ সময় তিনি জানান, স্পিন দিয়েই টাইগারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চান তিনি। শের-ই-বাংলা ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক হবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
স্পিনের সুবিধা পাওয়ার জন্যই অ্যাগারকে যে দলে নেওয়া হয়েছে সেটি উপলব্ধি করতে পারছেন তিনি নিজেও। আর তাই আশা করছেন, একাদশেও ঠাই মিলবে দুই টেস্টেই। অ্যাগার বলেন, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশনে স্পিনাররা বেশ সফল আর তাই চার বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।’
একাদশে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে চান অ্যাগার, যাতে অন্তত পরের টেস্টের জন্য আবারও চার বছর অপেক্ষা করতে না হয়! অ্যাগার বলেন, ‘যদি একাদশে সুযোগ পাই তবে ভালো কিছু করতে চাই। দলে আমার অবস্থানকে পাকা করতে চাই। আর চার বছর পর আমার টেস্ট দলে ফেরাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
অ্যাস্টন অ্যাগারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যারিয়ার খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন মাত্র দুটি করে ম্যাচ। এতে খুব একটা ভালো নয় তার পরিসংখ্যানও। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত পাফরমেন্স উপহার দিয়েছেন অ্যাগার। স্পিন দিয়ে টাইগারদের ঘায়েল করতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার উপমহাদেশ-দুঃখ ঘোচার নায়কও হয়ে উঠতে পারেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ ক্রিকেটার।
- সিয়াম চৌধুরী, প্রতিবেদক, বিডিক্রিকটাইম