
প্রকাশিত হয়েছে - 2024-03-24T20:05:25+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-03-24T20:05:25+06:00
আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২০ রানের জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের। আগে ব্যাট করতে নেমে সঞ্জু স্যামসনের অপরাজিত ফিফটিতে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। জবাবে ফিফটি করেও দলকে জেতাতে পারেননি লোকেশ রাহুল ও নিকোলাস পুরান। [গুগল নিউজে বিডিক্রিকটাইম ফলো করুন]
২০ রানের জয় পেয়েছে রাজস্থান
জয়পুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। যশস্বী জাইসওয়াল ও জস বাটলারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে মাত্র ১৩ রান। ব্যক্তিগত ১১ রানে জস বাটলারকে ফিরিয়ে রাজস্থান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাভিন উল হক। বেশি করতে পারেননি যশস্বী জাইসওয়ালও। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় তাকে ফেরান মহসিন খান। ১২ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৪ রানে ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।
এরপর রিয়ান পরাগকে সাথে নিয়ে রাজস্থানের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রায় দশ ওভার স্থায়ী জুটিতে ৯৩ রান তোলেন তারা দুই জন। গড়ে দেন বড় স্কোরের ভিত। ইনিংসের ১৫তম ওভারে রিয়ান পরাগ আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। ২৯ বলে একটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪৩ রান করে নাভিন উল হকের বলে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পরাগ। এরপর দ্রুতই ফিরেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার শিমরন হেটমায়ার। সাত বল খেলে ব্যক্তিগত ৫ রানে রবি বিষ্ণুয়ইয়ের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হেটমায়ার।
শেষের দিকে ঝড় তোলেন স্যামসন ও ধ্রুব জুরেল। মাত্র ২২ বলের তারা তোলেন ৪৩ রান। ফলে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান রয়্যালস। একটি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ১২ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ধ্রুব জুরেল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তার ৫২ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কা।
দুই উইকেট শিকার করেন লক্ষ্ণৌ এর আফগান পেসার নাভিন উল হক।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। চার রানেই থামেন ডি কক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোল্টের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন দেবদূত পাডিক্কাল। ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ আয়ুশ বাদোনিও। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
দারুণ লড়াই করেন রাহুল ও পুরান
এরপর ক্রিজে আসেন দীপক হুডা। দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। ১৩ বলে দুইটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রান করে যুযবেন্দ্র চাহালের শিকার হন তিনি। একপর্যায়ে ৬০ রানে চার উইকেটের দলে পরিণত হয় লক্ষ্ণৌ। তবে এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান। উইকেটের চারপাশে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটান তারা।
মাত্র ৫২ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। ফিফটি তুলে নিয়ে সন্দীপ শর্মার শিকার হন লোকেশ রাহুল। ৪৪ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় সাজানো ছিল তার ৫৮ রানের ইনিংস। পরের ওভারেই মার্কাস স্টয়নিসকে অল্পতেই ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওই ওভারে অসাধারণ বোলিং করেন অশ্বিন৷ মাত্র চার রান দিয়ে লক্ষ্ণৌ এর জন্য কঠিন করে তোলেন ম্যাচ জেতা। অনপ্রান্তে একার লড়াই চালিয়ে যান নিকোলাস পুরান। এর মাঝেই তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন পুরান। তার ৪১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি করে চার ও ছক্কায়।
দিল্লির হয়ে দুইটি উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।