‘তরুণ ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই সম্পৃক্ত বেশি’

প্রকাশিত হয়েছে - 2018-05-05T14:49:27+06:00
আপডেট হয়েছে - 2018-05-05T19:31:59+06:00
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মাঠের পাশাপাশি ব্যস্ত থাকেন অন্যান্য কাজেও। ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর বনে যান তারকা। সেটারই ফায়দা তোলে বিভিন্ন কোম্পানি। তবে এসবের পাশাপাশিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ক্রিকেটারের আনাগোনা অনেক বেশি। যেটার প্রভাব পড়ছে নিজেদের পারফরম্যান্সেও। তরুণ ক্রিকেটাররা মাঠের পাশাপাশি বেশি সম্পৃক্ত থাকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
[caption id="attachment_47097" align="aligncenter" width="900"]

ছবিঃ সংগৃহীত
[/caption]
এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তরুণ ক্রিকেটাররা যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চেয়ে মাঠে মনোযোগটা বেশি দেয় সেই বিষয়ে তরুণ ক্রিকেটারদের লক্ষ্য রাখতে বললেন খালেদ পাইলট।
বিডিক্রিকটাইম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।‘আমি কাউকে ছোট করছি না। আপনি যদি দেখেন, ফেসবুক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা অনেক বেশি সম্পৃক্ত। অথচ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তারকাখ্যাতি ভারতের খেলোয়াড়দের। তাদের ফেসবুকে গিয়ে কিন্তু তেমন আপডেট পাবেন না। আমাদের দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই ফেসবুকে এত বেশি সম্পৃক্ত থাকে, তাদের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তার সময় থাকে না। মিডিয়া অবশ্য এগুলো ধরার চেষ্টা করে।’
তিনি আরও যোগ করেন,
‘ক্রিকেটারদের চিন্তায় থাকবে খেলা, সেখানেই তাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। ক্রিকেটাররা সবাই ব্যস্ত শো আপ করতে। আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেটারদের ওখান থেকে মনোযোগ সরিয়ে ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেটে নিয়ে আসা উচিত। তাদের বুঝতে হবে সামাজিক মাধ্যমে এত পপুলার হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়। ভালো ক্রিকেট খেললে এমনিতেই তারা ফোকাসে থাকবে।’
তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় উদাহরণ হতে পারেন ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। তরুণ ক্রিকেটাররা যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চেয়ে মাঠে মনোযোগ বেশি দেয়, সেই বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে জানান জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক। তাছাড়া এসব বিষয় দেখার জন্য বিসিবিকে একজন গাইড নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন পাইলট।
‘শচীনের কি টাকার অভাব ছিল কখনো? ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে এসেও কঠিন পরিশ্রম করেছে ক্রিকেটটাকে ভালোবেসেই। ও সম্মানের পেছনে দৌড়িয়েছে। টাকা ওর কাছে এসেছে। আমি মনে করি যারা ম্যানেজমেন্টে আছেন, তাদেরও কিছু দায় আছে খেলোয়াড়দের ঠিক পথে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে। কম বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর অনেক সময় তারা এসব বুঝতে পারে না। অনেক সময় তারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঠিক শিক্ষা পায় না। এ জন্য বিসিবির উচিত সব সময়ের জন্য একজন গাইড নিয়োগ দেওয়া।’