ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আমলার যত রেকর্ড

প্রকাশিত হয়েছে - 2021-07-08T11:44:29+06:00
আপডেট হয়েছে - 2021-07-08T12:02:13+06:00
কাউন্টিতে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থেকে সারেকে অবিশ্বাস্য এক ড্র উপহার দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। আমলার এমন ধৈর্যশীল ব্যাটিং অবশ্য নতুন কিছু নয়। এছাড়া আমলার স্বদেশী এবি ডি ভিলিয়ার্সেরও আছে এমন ধীরগতির ব্যাটিংয়ের একাধিক কীর্তি।
[caption id="attachment_163930" align="aligncenter" width="636"]

৭ জুলাই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে অবিশ্বাস্যভাবে সারের হার ঠেকিয়েছেন আমলা। ফাইল ছবি
বিডিক্রিকটাইম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।[/caption]
২০০৮ সাল থেকে কমপক্ষে ২০০ বল মোকাবেলা করা ইনিংসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধৈর্যশীলতা দেখানো চার ইনিংসই প্রোটিয়াদের। বুধবার (৭ জুলাই) আমলার অপরাজিত ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩.৩০। এর চেয়েও কম স্ট্রাইক রেটের ইনিংসও আছে তার। ২০১৫ সালে টেস্টে ২৪৪ বলের মোকাবেলায় করেছিলেন ২৫ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ১০.২৪। অবশ্য অপরাজিত ছিলেন না।
২০০৮ সালের পর থেকে কমপক্ষে ২০০ বল মোকাবেলায় সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের প্রথম শ্রেণির ইনিংস এই দুটিই। এর পরের দুই কীর্তি ডি ভিলিয়ার্সের। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও লাল বলের খেলায় বদলে যান ডি ভিলিয়ার্স। তার দৃষ্টান্ত গড়ে তৃতীয় ও চতুর্থ কীর্তিদ্বয় তারই।
২০১৫ সালে দিল্লীতেই ১৪.৪৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে থামেন তিনি, ২৯৭ বলে করেন ৪৩ রান। ২০১২ সালে অ্যাডিলেড টেস্টে অজিদের বিপক্ষে ২২০ বল মোকাবেলা করে ৩৩ রানে আউট হন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫।
এ তো গেল ব্যক্তিগত ইনিংসের গল্প। দলীয় ইনিংসের দিকে নজর দেওয়া যাক। ১৯৭৫ সালের পর কমপক্ষে ১০০ ওভার খেলা হয়েছে এমন প্রথম শ্রেণির ইনিংসগুলোর মধ্যে সারের বুধবারের ১২২ রানের ইনিংস আছে তৃতীয় স্থানে। এই ম্যাচে রান রেট ছিল ১.১৬।
১৯৯৯ সালে ইন্দোরে রেলওয়ে ও মধ্যপ্রদেশের খেলায় ০.৭৮ রান রেটে ১০৯ ওভারে ৮৬ রান করে রেলওয়ে, ৫ উইকেট হারিয়ে। এই সময়কালে আপাতত এটিই সবচেয়ে কম রান রেটের কীর্তি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ২০১৫ সালের সেই দিল্লী টেস্টে ১৪৩.১ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওভারপ্রতি রান এসেছিল ০.৯৯ হারে।
আমলার ইনিংসে রেকর্ড হয়েছে আরও একটি। ২৭৮ বলে ৩৭ রান করার ক্ষেত্রে ৪০ রানের ছোট ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বল মোকাবেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিডস টেস্টে ২৭৭ বলে ৩৮ রান করেছিলেন ট্রেভর বেইলি।
২০০ বল মোকাবেলা করে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট (২০০৮ সালের পর)
১. হাশিম আমলা | প্রতিপক্ষ :
| দিল্লী, ২০১৫ | ২৫ রান (২৪৪ বল) | স্ট্রাইক রেট : ১০.২৪
২. হাশিম আমলা | প্রতিপক্ষ : হ্যাম্পশায়ার | সাউদাম্পটন, ২০২১ | ৩৭* রান (২৭৮ বল) | স্ট্রাইক রেট : ১৩.৩০
৩. এবি ডি ভিলিয়ার্স | প্রতিপক্ষ : ভারত | দিল্লী, ২০১৫ | ৪৩ রান (২৯৭ বল) | স্ট্রাইক রেট : ১৪.৪৭
৪. এবি ডি ভিলিয়ার্স | প্রতিপক্ষ : অস্ট্রেলিয়া | অ্যাডিলেড, ২০১২ | ৩৩ রান (২২০ বল) | স্ট্রাইক রেট : ১৫.০০
১৭৭৫ সালের পর সবচেয়ে শ্লথ দলীয় ইনিংস (কমপক্ষে ১০০ ওভার ব্যাট করা হয়েছে এমন)
১. ৮৬/৫ (১০৯ ওভার) | রান রেট : ০.৭৮ | রেলওয়ে বনাম মধ্য প্রদেশ | ইন্দোর, ১৯৯৯
২. ১৪৩/১০ (১৪৩.১ ওভার) | রান রেট : ০.৯৯ | দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারত | দিল্লী, ২০১৫
৩. ১২২/৮ (১০৪.৫ ওভার | রান রেট : ১.১৬ | সারে বনাম হ্যাম্পশায়ার | সো'টন ২০২১
৪০ রানেরও ছোট ইনিংসে মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি বল (বলের গণনা রয়েছে এমন)
১. হাশিম আমলা (৩৭*, ২৭৮ বলে) | সারে বনাম হ্যাম্পশায়ার | সাউদাম্পটন, ২০২১
২. ট্রেভর বেইলি (৩৮, ২৭৭ বলে) |
বনাম অস্ট্রেলিয়া | লিডস, ১৯৫৩
more
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।