পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান

তাহসিনা জামানক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2025-04-05T13:02:36+06:00
আপডেট হয়েছে - 2025-04-05T13:03:20+06:00
New Zealand vs Pakistan
Bay Oval

New Zealand
264/8 (42)

Pakistan
221/10 (40)
New Zealand won by 43 runs
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪৩ রানে পরাজিত করল নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ৪২ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ২৬৪ রান। জবাবে ৪০ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো সফরকারী পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ড
বে ওভালে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে দুই দল ৪২ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পায়। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের ওপেনার নিক কেলিকে শুরুতেই সাজঘরের পথ দেখান নাসিম শাহ। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও রিস মারিউ। নিকোলসকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ।
বিদায়ের আগে ৪০ বলে ৩১ রান করেন নিকোলস। মাত্র একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। তারপর মারিউ ও ড্যারিল মিচেলের জুটি বড় হয়নি। মাত্র ১২ রানের জুটি ছিল। অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায় নেন মারিউ। ৬১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কা।
চতুর্থ উইকেটে আবারো অর্ধশত রানের জুটি পায় নিউজিল্যান্ড। ৬৫ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন মিচেল ও টিম সেইফার্ট। পাঁচ বছর পর এই ম্যাচে ওডিআই খেলতে নামের সেইফার্ট। দীর্ঘ বিরতির পর সুযোগ পেয়ে ২৯ বলে ২৬ রান করেন এই ব্যাটার। তিনিও নাসিমের বলে আউট হন। হাঁকান একটি করে চার ও ছক্কা।
সেইফার্টের বিদায়ের পর মিচেলও দ্রুতই বিদায় নেন। ৫৩ বলে ৪৩ রান করেন মিচেল। আকিফের বলে আউট হন তিনি। মিচেলের ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
তারপর ছোট ছোট জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল খেলেন মারকুটে ইনিংস। ৪০ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলার পথে ব্রেসওয়েলের ব্যাট থেকে আসে একটি চার ও ছয়টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৫০। ব্রেসওয়েলের ঝড় থামান আকিফ। ইনিংসের শেষ বলেই আউট হন তিনি।
ব্যাটারদের দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৪২ ওভারে ২৬৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে চারটি উইকেট পান আকিফ। নাসিম নেন দুইটি উইকেট এবং একটি করে উইকেট পান ফাহিম আশরাফ ও সুফিয়ান মুকিম।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। আহত হন ওপেনার ইমাম উল হক। আউট না হয়েও মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দলীয় ৫ রানে ও ইনিংসের ২.৩ ওভারে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ছুটে আসা বলের থ্রো লাগে ইমামের মাথায়। ফলে আর ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি, ফিরে যান সাজঘরে।
তারপর জুটি গড়েন আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজম। তাদের জুটিতে আসে ৬৮ রান। ওপেনার শফিক আউট হওয়ার মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। ৫৬ বলে ৩৩ রানের শ্লথ ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা সফরকারীরা।
বাবর আজম অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায় নেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ বলে ৫০ রান। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে বাবরের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ৩২ বলের ইনিংসে রিজওয়ান হাঁকান দুইটি চার ও একটি ছক্কা। সালমান আগা ১১ বলে ১১ রান করেই বিদায় নেন।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের পরাজয়ের দিকে ঝুঁকতে থাকে। তাইব তাহির একাই লড়াই করার চেষ্টা করেন। ফাহিম আশরাফ ৪ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন। তবে নাসিম শাহ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাসিম।
তারপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। দুই ওভার বাকি থাকতেই ২২১ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই সাথে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করল কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ফাইফার নেন বেন সিয়ার্স। ৯ ওভারে মাত্র ৩৪ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট নেন সিয়ার্স। জ্যাকব ডাফি নেন দুইটি উইকেট।