সানজামুলের ব্যাটে শেষ বলে জিতল 'এ' দল

Imran Hasanসম্পাদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2019-10-10T18:36:20+06:00
আপডেট হয়েছে - 2019-10-10T19:00:38+06:00

কলম্বোয় টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। আমন্ত্রণের সাড়া দিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২২৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শেষ বলে গিয়ে ১ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা।




জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে ছিল ২ উইকেট। আক্রমণে ম্যাচের সবচেয়ে সফল লঙ্কান বোলার রমেশ মেন্ডিস। এমন পরিস্থিতিতে দলকে ঠিকই জয় এনে দিয়েছেন সানজামুল। এক রান নিয়ে ৫০তম ওভার শুরু করেছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় বলে এবাদত এক রান নিয়ে তাকে স্ট্রাইক দিলে ৪ রান আদায় করে নেন সানজামুল। এতে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় সফরকারীদের।
ওভারের চতুর্থ বলে আবারও এক রান নেন তিনি। অতিরিক্ত খাত থেকে পঞ্চম বলে আসে একটি রান। যার ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন কমে আসে ২ বলে ১ রানে। এমন সময় এবাদত আকাশে ভাসিয়ে খেলতে গেলে ধরা পড়েন করুনারত্নের হাতে। এর ফলে শেষ বলে ১ রান প্রয়োজন পড়ে সফরকারীদের। এবাদত আউট হওয়ার বলে হাফ-ক্রিস অতিক্রম করায় শেষ বলে স্ট্রাইক পান সানজামুল। মেন্ডিসের করা শেষ বলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনিয়ে নেন জয়।
এর আগে সফরকারীদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৬ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া আরেক ব্যাটসম্যান প্রিয়ামাল পেরেরা খেলেন ৫২ রানের ইনিংস।
সফরকারী বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, এবাদত ও সানজামুল। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন
রাহী,
ও
ধ্রুব।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা আজও ভালো হয়নি সফরকারীদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাইফের উইকেট হারায় দলটি। ৫ রান করা সাইফকে আউট করেন ফার্নান্দো। তার বিদায়ে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। শুরুর ধাক্কার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন নাইম ও
।
প্রতিপক্ষকে 'কাউন্টার-অ্যাটাক' করে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন নাইম। ৩৪ বল মোকাবেলায় ৮ চারে ৪৪ রান করে যখন বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন নাইম, ঠিক তখনই চোট পান তিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যার ফলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তার মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আউট হন শান্ত। দলীয় ৭৪ রানে শান্ত'র বিদায়ের ফলে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের।





দ্রুততম সময়ে নাইম ও শান্ত'র বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪১ রান যোগ করে এ চাপ সামাল দেন মিঠুন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২ ছক্কায় ৩১ রান করে আফিফ আউট হলে বিচ্ছিন্ন হয় এ উইকেট জুটি। এরপর অধিনায়কের সাথে লড়াইয়ে যোগ দেন সোহান।
চতুর্থ উইকেটে দু'জনের লড়াকু মনোভাবের পরিচয়ে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ 'এ'। ৩২তম লিস্ট 'এ' হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণের পাশাপাশি সোহানের সাথে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মিঠুন। তাদের চতুর্থ উইকেটের এ জুটি জয়ের পথ দেখায় বাংলাদেশকে।
ব্যক্তিগত ২৫ রানে সোহান আউট হলে বিচ্ছিন্ন হয় এ উইকেট জুটি। তার বিদায়ের পর আবারও মাঠে নামেন নাইম। পূর্ণ করেন লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরি। দলীয় ১৯০ রানে ৫২ রান করে মিঠুন আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সফরকারীদের এ চাপ বাড়ে আরিফুল (৭) ও নাইম (৬৮) রান করে আউট হয়ে গেলে।
নাইম যখন আউট হন জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলেও দলকে হারতে দেননি সানজামুল ইসলাম। শেষদিকে ব্যাটিং নৈপুণ্যে প্রদর্শন করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। ৯ বলে ১১ রান করার পাশাপাশি ম্যাচের শেষ বলে ১ রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা 'এ' দল: ২২৬/৯ (৫০ ওভার)
মেন্ডিস ৬১, পেরেরা ৫২, করুনারত্নে ২৫; রনি ১০-১-৪২-২, সানজামুল ১০-০-৪৩-২, এবাদত ১০-০-৪৬-২, আফিফ ২-০১৩-১।
বাংলাদেশ 'এ' দল: ২২৭/৯ (৫০ ওভার)
নাইম ৬৮, মিঠুন ৫২, সোহান ২৫, আফিফ ২৪;
ফল: বাংলাদেশ ১ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ:
১-১ সমতা।
প্রথমবারের মত বিডিক্রিকটাইম নিয়ে এলো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। বাংলাদেশ এবং সকল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বল বাই বল লাইভ স্কোর, এবং সাম্প্রতিক নিউজ সহ সবকিছু এক মুহূর্তেই পাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অনলাইন পোর্টাল BDCricTime এর অ্যাপে। অ্যাপটি ডাউনলোড করতে গুগল প্লে-স্টোর থেকে সার্চ করুন BDCricTime অথবা ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।