বিদেশি ক্রিকেটার না থাকায় আকবর-নাঈমদের জন্য বড় মঞ্চ প্রস্তুত : সুজন

Afrid Mahmud Rifatক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2020-11-12T18:09:38+06:00
আপডেট হয়েছে - 2020-11-12T18:09:38+06:00
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টের জন্য অনুষ্ঠিত প্লেয়ার্স ড্রাফটে অভিজ্ঞ এবং তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছে ঢাকা। তবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের চেয়ে তরুণ ক্রিকেটারই বেশি এই দলে। তরুণদের নিয়ে আশাবাদী হতে চান খালেদ মাহমুদ সুজন।

এই মাসেই আরম্ভ হবে টি-টোয়েন্টি কাপের টুর্নামেন্টটি। যার কারণে বৃহস্পতিবার ঢাকা অভিজাত হোটেলে আয়োজন করা হয় টুর্নামেন্টটির প্লেয়ার্স ড্রাফট। আর এই ড্রাফটে কাগজে-কলমে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী দল গঠন না করলেও দলে রয়েছেন মুশফিক, রুবেলের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সেই সাথে তরুণদের মধ্যে রয়েছেন আকবর, তানজিদ তামিম, মেহেদি হাসান রান।
দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই তরুণ। আর এটিই তাদের জন্য বড় সুযোগ দেখছেন খালেদ মাহমুদ। ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে অন্যতম বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিপিএল ছাড়া টি-টোয়েনি খেলা হয় না স্থানীয় ক্রিকেটারদের। বিপিএলে দল পেলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিড়ে দলে নিজেদের জায়গা করে নিতে হিমশিম খেতে হয় ক্রিকেটারদের। এই টুর্নামেন্টে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকায় আকবর, দিপুদের জন্য বড় মঞ্চ হিসেবেই দেখছেন খালেদ মাহমুদ।
“আমি বলবো না যে টুর্নামেন্টে আমাদের দলই শক্তিশালী। তবে আমি খুশি, দলে যেসব তরুণ ক্রিকেটাররা আছে তাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ প্রতিভাবান।”
বিডিক্রিকটাইম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।“আমি মনে করি তরুণদের জন্য অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। জায়গা মতো সুযোগ পাবে। যারা চার কিংবা পাঁচে নেমে ম্যাচ ফিনিশ করবে এই ফরম্যাটে তাদের দেখতে পারব কী করে। বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের কারণে অনেক সময় পছন্দের পজিশনে খেলতে পারে না লোকাল ক্রিকেটাররা। এই টুর্নামেন্টে যেহেতু বিদেশি ক্রিকেটাররা নেই যার কারণে লোকাল ক্রিকেটারদের প্রমাণ করার বড় মঞ্চ থাকবে তাদের সামনে। তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানরা যেমন নিজেদের পছন্দমত পজিশনে ব্যাট করার সুযোগ পাবেন তেমনই সুযোগ থাকবে বোলারদের সামনেও। টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভার একটি ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিতে পারে। বিদেশি বোলার না থাকাতে দেশি বোলারদের জন্য এটি বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন খালেদ মাহমুদ।
“বোলারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে এই টুর্নামেন্ট। নতুন বলটা তারা কিভাবে বল করবে, ডেথ ওভারের মাঝখানে কিভাবে বল করবে। এগুলো শিখবে এখান থেকে। আমি বলছি না যে একদিনেই শিখে যাবে তারা আর সেটি সম্ভবও না। এই ধরণের টুর্নামেন্ট যদি আমরা নিয়মিত করি তাহলে ভালো ক্রিকেটার তৈরি করতে পারব।”