সাকিবের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের ইতিহাস
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৫০টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব

Azmal Tanjim Shakirপ্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2023-08-11T14:27:46+06:00
আপডেট হয়েছে - 2023-08-11T14:28:08+06:00
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবার অধিনায়কত্ব দায়িত্ব পাওয়ার পর তা ছেড়েছিলেন প্রায় এক যুগ আগে। সেই পথচলায় ছিল নানা উত্থান-পতন।
বাংলাদেশকে সাকিব আল হাসান প্রথম নেতৃত্ব দেন ২০০৯ সালের জুলাইয়ে। তখন ২২ বছর ১২৪ দিন বয়সী সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় তিন বছর। সাকিবের থেকে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন। ২০ বছর ২৯৭ দিন বয়সে অধিনায়কত্ব করেছিলেন
রাজিন সালেহ।
অধিনায়কত্বের শুরুতে প্রথম পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জয় পাওয়ার রেকর্ড নেই অন্য কোনো বাংলাদেশি অধিনায়কের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্ব শুরু করেছিলেন সাকিব। সেই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন সাকিব।
এরপর তার অধিনায়কত্বে খেলা টানা ১৩ ওয়ানডে ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশে নেতৃত্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান সাকিব। ঐ সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলে বাকি ম্যাচগুলো নেতৃত্ব দেন সাকিব।
প্রায় দুই বছর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচের মাঝে তিন ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ। হারিয়েছিল ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারণে ঐ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়নি বাংলাদেশের।
তবে ঐ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপুক্ষে ৫৮ রানে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বক্তব্য নিয়ে হয়েছিল সমালোচনা। খাবার ভালো থাকায় ক্রিকেটাররা দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছিলেন- হাসতে হাসতে এমন মন্তব্য করেছিলেন সাকিব।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপর বাংলাদেশ সফরে আসে অস্ট্রেলিয়া। ঐ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিল তিনটিতেই। তবে সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন বাড়তে থাকে ঐ বছরের আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজের হারার পর।
পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ জিতিয়ে দলকে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচান সাকিব। শেষ ম্যাচে ৭৯ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি দুই উইকেট শিকার করে সাকিব হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
এরপর ২০১৪ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার ডেপুটি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাশরাফি না খেলায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
তারপর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব।সেই ম্যাচে ৭৯ রানে জিতে ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে জয় পায় বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৫০টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে ২৩ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে ২৬ ম্যাচ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জয়ের হার ৪৬ শতাংশ।
জয়ের সংখ্যায় সাকিবের ওপরে আছেন হাবিবুল বাশার ও মাশরাফি। হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে ২৯ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি জিতিয়েছেন ৫০টি।
জয়ের শতকরা হার বিবেচনা করলে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কদের মধ্যে সাকিব থাকবে তিনে। দলকে ৫৬.৮১ শতাংশ ম্যাচ জিতিয়ে শীর্ষে থাকবেন মাশরাফি। দুইয়ে থাকা তামিম ইকবাল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৫৬.৭৫ শতাংশ ম্যাচে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের খবর সবার আগে পেতে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন BDCricTime Videos চ্যানেলটি।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।