
তালহা তানীমContributor
প্রকাশিত হয়েছে - 2024-03-27T18:06:57+06:00
আপডেট হয়েছে - 2024-03-27T18:06:57+06:00
ডিপিএলে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১৪০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাট করতে নেমে তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও জাকের আলীর ফিফটি ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। জবাবে মোসাদ্দেক, নাহিদুলদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ম্যাচসেরা হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। [গুগল নিউজে বিডিক্রিকটাইম ফলো করুন]
ফতুল্লায় আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান তোলেন আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। তবে বড় ইনিংস ছিল না কারোরই। তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৪ রানে থামেন বিজয়। ৫৫ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৩১ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন নাঈম শেখ। দ্রুতই ফিরে যান আফিফ হোসেন ধ্রবও। দলীয় ৯৩ রানে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়েন জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়। উইকেট চারপাশে দারুণ সব শট খেলেন দুইজনই। ফিফটি তুলে দুইজনই এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে।
ব্যক্তিগত ৭৮ রানে জাকের আবু হাশিমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে ভাঙে তার ও হৃদয়ের ১৪০ রানের জুটি। ৯৫ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি দর্শনীয় ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ আট ওভারে ঝড় তোলেন হৃদয় ও মোসাদ্দেক। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। মাত্র ৮৪ বলে ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়।
মোসাদ্দেক করেন ২৬ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান। শেষ আট ওভারে আবাহনী তোলে ৮৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩২০ রানে থামে আবাহনী।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বোল্ড হন টাইগার্সের ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন। তাকে বোল্ড করেন তাসকিন। দলীয় ২৮ রানে ফেরার আগে মামুন করেন ১৫ রান। শূন্য রানেই সাইফউদ্দিনের শিকার হন আইচ মোল্লা।
এরপর অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনের সাথে অপর ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন গড়েন ৬৮ রানের জুটি। নাহিদুলের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহফিজুল। আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন তিনি।
এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনও। তিনটি চারের সাহায্যে ২৯ রানে ফেরেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। একপ্রান্তে শামসুর রহমানের ৩৯ রান বাদে বাকি সবাই ব্যর্থ বড় রান করতে। ৪৬ বলের ইনিংস দুইটি ছক্কা ও একটি চার মারেন শামসুর।
আবাহনীর হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম। মাত্র ৩ রানে তিন উইকেট শিকার করেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দুই উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।